দিনাজপুর বোর্ডের অকৃতকার্য ৪৫ হাজার ৩৯ জনের মধ্যে ইংরাজিতে ৩৫ হাজার ৮৩৮

Published : ২২:১০, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
রংপুর বিভাগের আট জেলার ৬৬৬টি কলেজের ১ লক্ষ ৫ হাজার ৯২১ জন শিক্ষার্থী চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে অধীনে অংশগ্রহণ করেন। ফল বিপর্যয় হয়েছে।
তাদের মধ্যে পাস করেছে ৬০ হাজার ৮৮২ জন। আর অকৃতকার্য হয়েছে ৪৫ হাজার ৩৯ জন। এর মধ্যে ইংরেজিতে ফেল করেছেন ৩৫ হাজার ৮৩৮ পরীক্ষার্থী।
অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকের অভাবে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ইংরেজিতে বিপর্যয় ঘটেছে বলে মনে করছে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি অভিভাবক, শিক্ষক—শিক্ষার্থী ও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে ভাবিয়ে তুলেছে।
ইংরেজিতে ফেল করা এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, কলেজগুলোর ইংরেজি শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাব রয়েছে। তারা সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেননি। ফলে শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে এতো বেশি ফেল করেছে। ইংরেজি শিক্ষকদের বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এটি লং প্রসেস। আমরা প্রতি বছর বিভিন্ন সময় তাদের প্রশিক্ষিত করছি। দেখা যাক সামনে কি করা যায়।
৬৬৬টি কলেজের মধ্যে ৪৩টি প্রতিষ্ঠান শূন্য পাস করেছে। গত বছর শূন্য পাসের কলেজের সংখ্যা ছিল ২০টি। এবার সেই সংখ্যা বেড়েছে আরও ২৩টি কলেজে। জানা যায়, শূন্য পাস করা ৪৩টি কলেজ থেকে ১৮২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউ পাস করতে পারেনি। এর মধ্যে নীলফামারী জেলার ১০টি কলেজের ৪০ জন, কুড়িগ্রামের ৯টি কলেজের ৫৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৬ কলেজের ২৫ জন, লালমনিরহাটে ৫ কলেজের ১৪ জন,
রংপুরের ৪ কলেজের ১৫ জন, দিনাজপুরের ৪ কলেজের ১৭ জন, পঞ্চগড়ের ৩ কলেজের ১১ জন ও গাইবান্ধা জেলার ২ কলেজের ৬ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কলেজগুলো হলো নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বাগুলাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের ১৫ জন, একই উপজেলার চৌধুরানী হাই স্কুল এন্ড কলেজের ৬ জন, গোলমুন্ডা আদর্শ কলেজের ৩ জন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার নয়নখান স্কুল এন্ড কলেজের ৫ জন,
ডিমলা উপজেলার নওতারা বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের ৩ জন, জিলা পরিষদ স্কুল এন্ড কলেজের ২ জন, ডিমলা সীমান্ত কলেজের ২ জন, গয়াখড়িবাড়ী বালিকা কলেজের ২ জন, নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষিচাপা সৃজনশীল কলেজের ১জন ও সাতপাই হাই স্কুল এন্ড কলেজের ১জন,
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চার চর শৌলমারী আদর্শ মহিলা কলেজের ১৫ জন, টাপুর চর স্কুল এন্ড কলেজের ৪ জন, ফুলবাড়ী উপজেলার রাশেদ খান মেনন কলেজের ১২ জন, রাজারহাট উপজেলার সিংড়া দাবড়িহাট কলেজের ১০ জন, নাগেশ্বরী উপজেলার চিলাখান মডেল কলেজের ৬ জন,
কুটিপাড়া ডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের ৩ জন, সমাজ কল্যাণ মহিলা কলেজের ১জন, উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল এন্ড কলেজের ২ জন, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ডোলডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের ১জন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালান্দর মহিলা কলেজের ৮জন, আমানতুল্লাহ ইসলামিয়া একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের ৫ জন,
ঠাকুরগাঁও নিউ মডেল কলেজের ৪জন, রানীশংকৈল উপজেলার গোগড় কলেজের ৫ জন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই বাগুলাবাড়ী হাই স্কুল এন্ড কলেজের ২ জন, পীরগঞ্জ উপজেলার এখতিয়াপুর শহীদ সালাহউদ্দীন স্কুল এন্ড কলেজের ১ জন, লালমনিরহাটের কালিয়াগঞ্জ উপজেলার সোনারজাট স্কুল এন্ড কলেজের ৫ জন, একই উপজেলার শিয়াল খাওয়া কলেজের ৩ জন,
দক্ষিণ ঘানাশ্যাম স্কুল এন্ড কলেজের ২ জন, হাতিবান্ধা উপজেলার আমিনুর রহমান কলেজের ২ জন, আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের ২ জন, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজহাট কলেজের ১০ জন, বিরামপুর উপজেলার বেপারীটোলা আদর্শ কলেজের ৩ জন, ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর লক্ষিপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজের ২ জন, হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় স্কুল এন্ড কলেজের ২ জন,
রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্ধ বেগম রোকেয়া স্মৃতি বালিজা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ৯ জন, বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজের ৪ জন, পীরগাছা উপজেলার কান্দিরহাট স্কুল এন্ড কলেজের ১ জন, গঙ্গাতলা উপজেলার বড়াইবাড়ী কলেজের ১ জন,
পঞ্চগড় জেলার বোদা পাইলট বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের ৮ জন, তেতুলিয়া উপজেলার আলহাজ্ব তমিজ উদ্দীন কলেজের ২ জন, বোদা উপজেলার মাড়েয়া মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের ১ জন, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গাগর হাই স্কুল এন্ড কলেজের ৫ জন এবং সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী মহিলা কলেজের ১ জন।
বিডি/এএন