বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী ও কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা ভি শান্তারামের স্ত্রী, সন্ধ্যা শান্তারাম, না ফেরার দেশে চলে গেছেন। শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে মুম্বাইয়ে ৯৪ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মহারাষ্ট্র সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি ও সংস্কৃতি মন্ত্রী অশীষ শেলার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) শোকবার্তায় বলেন, পিঞ্জরা-এর খ্যাতনামা অভিনেত্রী সন্ধ্যা শান্তারামের প্রয়াণ অত্যন্ত দুঃখজনক। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় ও নৃত্যশৈলী চিরকাল দর্শকের মনে অমর থাকবে। মন্ত্রীর অঙ্গীকার, ঈশ্বর তাঁর আত্মাকে শান্তি দিন।
সন্ধ্যা শান্তারামের চলচ্চিত্রে আগমন একেবারেই কাকতালীয়। ১৯৫১ সালে ভি শান্তারাম তার সিনেমা ‘অমর ভূপালি’–এর জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন।
সন্ধ্যার কণ্ঠস্বর ও ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে তিনি তাকে ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেন। এখান থেকেই শুরু হয় তার গ্ল্যামার ভরা অভিনয়যাত্রা। যদিও খুব বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি, প্রতিটি কাজেই রেখেছেন নিজের স্বতন্ত্র ছাপ।
তার অভিনীত ‘ঝনক ঝনক পায়েল বাজে’ (১৯৫৫) ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে বিশেষ স্থান অধিকার করে। ছবিতে কত্থক নৃত্যের ওস্তাদ গোপী কৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর রসায়ন দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। এই ছবিটি চারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জেতে এবং সন্ধ্যাকে অসাধারণ অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এছাড়া ‘দো আঁখে বারাহ হাত’ (১৯৫৭), ‘নবরং’ (১৯৫৯), ‘পিঞ্জরা’ (১৯৭২) এবং ‘অমর ভূপালি’ (১৯৫১)-এও তাঁর অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়।
সন্ধ্যা শান্তারাম ছিলেন ভি শান্তারামের তৃতীয় স্ত্রী। শান্তারাম তার দ্বিতীয় স্ত্রী জয়শ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরপরই সন্ধ্যাকে বিয়ে করেন। অভিনয় ও ব্যক্তিগত জীবনে তাদের জুটি ছিল এক অনন্য অধ্যায়। ভারতীয় সিনেমায় নৃত্য ও অভিনয়ের যে ঐতিহ্য আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়, সেখানে সন্ধ্যা শান্তারাম ছিলেন অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি চিরকাল চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।