গাজার শিক্ষার্থীদের রুটি-ডালের গল্প

Published : ১৮:২১, ১২ আগস্ট ২০২৫
ইসরায়েলি হামলা ও পাল্টা অভিযানের কারণে গাজায় শিক্ষার অবস্থা সংকটাপন্ন। ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা এখন বসবাস করছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
মাহা আলি একসময় সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, কিন্তু এখন তার ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের একমাত্র চিন্তা খাদ্যের যোগান দেওয়া। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর সংঘটিত ইসরায়েলি পাল্টা অভিযানে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং উপত্যকার অনেক অংশ ধ্বংস হয়েছে।
ফিলিস্তিনি শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গাজার ৩০৭টি স্কুলের মধ্যে ২৯৩টি আংশিক বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৯৭ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত, যার ৯১ শতাংশের বড় ধরনের মেরামত বা পুনর্নির্মাণ প্রয়োজন।
১৯ বছর বয়সী ইয়াসমিন আল-জাআনিন ও সাজা আদওয়ান আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছেন। তারা জানালেন, যুদ্ধের কারণে তাদের বই, পড়াশোনার উপকরণ ও স্বপ্ন সবই ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। সাজা বলেন, “আমার পড়াশোনা, জীবন, ভবিষ্যৎ—সবই ছিল সেই ইনস্টিটিউটে। সব ধ্বংস হয়ে গেছে।”
গাজার শিক্ষার্থীদের জন্য খাদ্য সংকট এবং শিক্ষার সুযোগ হারানো গভীর মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে, যা আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়েছে।
BD/AN