রকেট হামলার সাইরেনে ভোরে ঘুম ভাঙল ইসরায়েলিদের

রকেট হামলার সাইরেনে ভোরে ঘুম ভাঙল ইসরায়েলিদের পুরোনো ছবি

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১২:৩৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। টানা অভিযানের মধ্যেও মাঝে মাঝে সশস্ত্র প্রতিরোধ দেখা দিচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় ভোরে রকেট হামলার সাইরেনে ঘুম ভাঙে ইসরায়েলিদের।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজা থেকে দুটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এর মধ্যে একটি আকাশেই প্রতিহত করা সম্ভব হয়, আরেকটি জনবসতিহীন এলাকায় গিয়ে পড়ে।

প্রায় তিন সপ্তাহ পর গাজা থেকে এটাই প্রথম রকেট হামলা। এ ঘটনায় নেটিভোট শহরসহ আশপাশের এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে। মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে বিশেষ বাহিনী। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই নাগরিকদের জানানো হয়, আর কোনো আশঙ্কা নেই।

জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানায়, হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবুও তারা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলের টানা প্রায় ৭০০ দিনের আগ্রাসী হামলায় গোটা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজা সরকারের তথ্য অনুযায়ী, অবকাঠামোর প্রায় ৯০ শতাংশ নিশ্চিহ্ন এবং ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার।

এই হামলা কেবল ধ্বংসযজ্ঞ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত গণহত্যা ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির কৌশল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ পর্যন্ত ৭৩ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন অন্তত ২০ হাজার শিশু ও ১২ হাজার ৫০০ নারী। প্রায় ২ হাজার ৭০০ পরিবার সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৬৭০ স্বাস্থ্যকর্মী, ২৪৮ সাংবাদিক, ১৩৯ সিভিল ডিফেন্স সদস্য এবং ১৭৩ জন পৌর কর্মচারীও রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষ। তাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গুত্ব, অঙ্গচ্ছেদ বা দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন।

এ ছাড়া হামলায় ৩৮টি হাসপাতাল, ৮৩৩টি মসজিদ, ১৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং হাজার হাজার সরকারি ভবন গুঁড়িয়ে গেছে। তবুও ইসরায়েল দাবি করছে, তাদের টার্গেট শুধু হামাস সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং তাদের ব্যবহৃত স্থাপনাগুলো। ইসরায়েলের বক্তব্য, হামাসকে ধ্বংস না করলে এ যুদ্ধ থামানো সম্ভব নয়।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement