মাঝ আকাশে বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ করার চেষ্টা

Published : ১৬:৫৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মাঝ আকাশে যাত্রীবাহী বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ করার চেষ্টা করার অভিযোগে সাবেক পাইলট জোসেফ ডেভিড এমারসন ফেডারেল আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আদালতের নথি অনুযায়ী, আলাস্ক এয়ারল্যাইন্সের একটি ফ্লাইটে ককপিটে দায়িত্ব পালন করার সময় এমারসন জানিয়েছিলেন, “আমি ঠিক নেই,” এবং এ সময় ইঞ্জিন বন্ধ করার চেষ্টা করেন।
পুলিশকে তিনি জানান, সাইকেডেলিক মাশরুম গ্রহণের পর তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অস্থির ছিলেন। আদালতে দোষ স্বীকার করার পর বিচারক তাকে এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। এমারসনের আইনজীবী কম দণ্ডের আবেদন করেছিলেন।
সিবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, রাজ্য আদালত তাকে ৫০ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন, যা তিনি ইতিমধ্যেই ভোগ করেছেন। এছাড়া আরও একাধিক শাস্তি ও শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর, যখন আলাস্ক এয়ারল্যাইন্সের বিমানটি ওয়াশিংটনের এভারেট থেকে সান ফ্রান্সিসকো যাচ্ছিল। বিমানে তখন ৮০ জন যাত্রী ছিলেন। পরে বিমানটি নিরাপদে ওরেগনের পোল্যান্ডে আনা হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এমারসনের আচরণ থামাতে প্রধান পাইলট দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং তাকে ককপিট থেকে বের করে দেন। পুরো ঘটনা মাত্র ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটেছিল।
ককপিট থেকে বের হওয়ার পর এমারসন বিমানকর্মীদের হুঁশিয়ারি দেন, “তোমাদের উচিত আমাকে এখনই বেঁধে ফেলা, না হলে খারাপ কিছু ঘটতে পারে।” এছাড়া তিনি হুমকি দিতেও থাকেন যে, তিনি সবকিছু ব্যবহার করে সবাইকে মারার চেষ্টা করবেন। ফেডারেল মামলায় এমারসনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বরের জন্য ধার্য করা হয়েছে।
BD/AN