নেপাল উত্তাল: সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, নিহত অন্তত ১৪

Published : ১৭:০৭, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নেপালে তরুণদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া আন্দোলনে দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সরকারের নিষেধাজ্ঞা এবং দীর্ঘদিনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাজপথে নেমেছে হাজারো মানুষ।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের ওপর টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে বাধা দেয় নেপাল পুলিশ। এমনকি গুলিও চালানো হয়। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, আর আহতের সংখ্যা একশ’রও বেশি। গুরুতর আহতদের অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবরে জানা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারি উপেক্ষা করেই রাজধানী কাঠমান্ডুর সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছেন হাজারো বিক্ষোভকারী। খবর— রয়টার্স, এনডিটিভি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে দেশটিতে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। মূলত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই শুরু হয়েছে বর্তমান বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীরা এই গণআন্দোলনকে নিজেদের ভাষায় ডাকছেন ‘জেন-জি রেভলিউশন’।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ দুপুর থেকে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। তবে বহু স্থানে জনগণ সেই কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরকারি বক্তব্য অনুযায়ী, ভুয়া আইডি ব্যবহারকারীরা এসব প্ল্যাটফর্মে ঘৃণা, গুজব এবং সাইবার অপরাধ ছড়াচ্ছে, যা সমাজের সম্প্রীতি নষ্ট করছে। সেই কারণে অনিবন্ধিত সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কিন্তু বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকারের এ সিদ্ধান্ত আসলে জনগণের কণ্ঠরোধের এক নগ্ন প্রচেষ্টা, যার জবাব দিতেই তারা রাজপথে নেমেছেন।
BD/AN