গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় তুরস্কের রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণ সহায়তা

গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট। বুধবার (১ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাত্রা শুরুর পর থেকেই গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। কারণ, সুইডিশ মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের ওপর অভিযোগ উঠেছে যে, গাজার উদ্দেশ্যে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা শুধুমাত্র প্রচারণার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এই অভিযোগের তীব্রভাবে খণ্ডন করেছেন গ্রেটা থুনবার্গ।

তিনি বলেন, “প্রথমত, প্রচারণা বা জনপ্রিয়তা পাওয়ার আশায় কেউ নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে বলে আমার মনে হয় না। এ সময় প্রশ্ন করা যায়, সহায়তার এইটুকু উদ্দেশ্যকে কীভাবে কেবল প্রচারণার কৌশল হিসেবে দেখা যায়?”

এর মধ্যে নৌযানের কাছাকাছি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং আকাশে ইসরায়েলি ড্রোন উড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা দল জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ড্রোন ব্যবহার করে তাদের ‘মানসিকভাবে দুর্বল’ করতে এবং ভয় দেখাতে চেষ্টা করছে।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার স্বেচ্ছাসেবীরা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “গাজার জনগণের ওপর খাদ্যাভাব ও গণহত্যার যন্ত্রণাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য ইসরায়েল ও তার সহযোগীরা যে সীমা অতিক্রম করছে, তা অত্যন্ত নিকৃষ্ট।”

এ ঘটনায় মার্কিন কংগ্রেসওম্যান রাশিদা তালিবসহ ১৮ জন কংগ্রেস সদস্য একটি যৌথ চিঠিতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে গাজাগামী নৌবহর ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’-কে নিরাপদভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে সহায়তা করা হয়। মূলত এই চিঠি মার্কো রুবিও, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তালিব জানিয়েছেন, “এই নৌবহর দুর্ভিক্ষে পড়া ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে যাচ্ছে এবং এটিকে সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি।” চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই নৌবহর ইতোমধ্যেই অন্তত তিনবার হামলার শিকার হয়েছে।

মার্কিন কংগ্রেসের এই চিঠিতে বলা হয়েছে, “আইন স্পষ্ট: গ্লোবাল সুমুদ নৌবহর বা এর বেসামরিক কর্মীদের ওপর যেকোনো হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”