থাইল্যান্ড সীমান্তে ভূতের কান্না বাজাচ্ছে: কম্বোডিয়ার অভিযোগ

থাইল্যান্ড সীমান্তে ভূতের কান্না বাজাচ্ছে: কম্বোডিয়ার অভিযোগ ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৯:২৭, ২১ অক্টোবর ২০২৫

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা কমার কোনো চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না।

এবার কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, সীমান্ত অঞ্চলে ‘ভূতুড়ে আওয়াজ’ বাজিয়ে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালানোর জন্য। কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন জানিয়েছেন, এই আওয়াজ সাধারণ মানুষের ঘুম নষ্ট করছে এবং উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

জুলাই মাসে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছালেও, নতুন এই অভিযোগ সীমান্ত পরিস্থিতিকে আবার জটিল করে তুলেছে। হুন সেন তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, কম্বোডিয়ার মানবাধিকার কমিশন জাতিসংঘের কাছে ‘তীব্র ও উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ’ সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়েছে।

তিনি শেয়ার করেছেন ১১ অক্টোবরের একটি চিঠি, যেখানে বলা হয়েছে, থাই-কম্বোডিয়ান সীমান্তে ‘মনস্তাত্ত্বিক ভীতি ও হয়রানির’ জন্য উদ্বেগজনক শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন। কম্বোডিয়ার মানবাধিকার কমিশনের দাবি, সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলোর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বেসামরিকদের কাছ থেকে তারা বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাই সেনারা লাউডস্পিকারের মাধ্যমে ‘ভূতুড়ে কান্নার শব্দ’ ছড়াচ্ছে, এবং সারারাত বিমান ইঞ্জিনের আওয়াজ শোনা যায়।

কমিশন জানায়, দীর্ঘ সময় চলা এই অডিও ‘ঘুম ব্যাহত করছে, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এবং শারীরিক অস্বস্তি সৃষ্টি করছে’। এছাড়া এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

হুন সেনের ছেলে হুন মানেত, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী, বলেছেন যে বিষয়টি মালয়েশিয়ার কাছে উত্থাপন করা হয়েছে। জুলাইয়ের যুদ্ধবিরতির পর দুই দেশ সেখানে মধ্যস্থতা করেছিল। এই সংঘর্ষে অন্তত ৩৮ জন নিহত এবং ৩ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

সংঘাত শুরু হয়েছিল থাই চলচ্চিত্র ও ফল আমদানি নিষিদ্ধ এবং একজন থাই বিক্ষোভকারীর হুন সেনের প্রতিকৃতিতে মাছের সস ছোঁড়ার ঘটনা দিয়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধ বন্ধ না হলে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত রাখার হুঁশিয়ারি দেন। এর পরই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযোগের মধ্যেই থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে সীমান্তে নতুন করে মাইন পাতা অভিযোগ এনেছে। জুলাই থেকে অন্তত ছয়জন থাই সেনা মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। তবে কম্বোডিয়া দাবি করেছে, থাই সেনারা মাইনগুলোতে নিজেরাই পা দিয়েছেন। কম্বোডিয়ার দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ দেশটিকে বিশ্বের অন্যতম মাইনপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত করেছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement