চট্টগ্রামে আ.লীগ অফিস ভাঙচুর করে দখলে নিল এনসিপি

চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয় ভাঙচুর ও দখলের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর কোতোয়ালি থানার জেনারেল পোস্ট অফিস (জিপিও)-এর বিপরীতে দোস্ত বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দোস্ত বিল্ডিংয়ের ওই চতুর্থ তলা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অন্তত ৪০ থেকে ৫০ জন নেতা-কর্মী। হঠাৎই এনসিপির একদল কর্মী সেখানে গিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে ঘটনাটির একটি ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন তরুণ কার্যালয়ের সামনে দেয়ালে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করছেন। সেখানে আরিফ মঈনুদ্দিনসহ এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকেও দেখা গেছে।

দোস্ত বিল্ডিংটি চট্টগ্রামের অন্যতম পুরোনো একটি রাজনৈতিক কেন্দ্র, যেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, গণসংহতি আন্দোলনসহ নানা সংগঠনের কার্যালয় রয়েছে।

এনসিপির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়ক আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কিছু নেতা এই কার্যালয়ে গোপনে বৈঠক করছিল এবং নগরজুড়ে অগ্নিসন্ত্রাসের পরিকল্পনা নিচ্ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তালা ভেঙে প্রবেশ করি। ভেতরে সভা করার সবরকম প্রস্তুতি পাওয়া গেছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, “এর আগেও আমরা এখানে এসেছিলাম, তখন শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করা হয়েছিল। পরে কার্যালয়টি কিছুদিন বন্ধ ছিল। আজ আবারও সেখানে গিয়েছি। ভবনের কার্যক্রম আমরা আগামী দুদিন পর্যবেক্ষণ করবো।”

ঘটনার সময় কার্যালয়ের কেয়ারটেকার পালিয়ে যান বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, “আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়েছি, তবে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”