মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে পারে যেসব অভ্যাস

মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে পারে যেসব অভ্যাস ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০১:১৮, ২২ অক্টোবর ২০২৫

মাইগ্রেন এক ধরনের জটিল ও বিরক্তিকর মাথাব্যথা, যা একবার শুরু হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হয়ে যায়। অনেক সময় এই ব্যথা ২৪ ঘণ্টা বা তারও বেশি স্থায়ী হতে পারে।

কিছু ক্ষেত্রে কয়েক দিনের ব্যবধানেই এটি আবার ফিরে আসে। ব্যথার সময় আলো, শব্দ কিংবা আশপাশের স্বাভাবিক পরিবেশও অসহনীয় মনে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ অভ্যাস মাইগ্রেনকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে। তবে এগুলো সচেতনভাবে এড়িয়ে চললে উপসর্গ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

১. মানসিক চাপ:
নিয়মিত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা মাইগ্রেনের অন্যতম প্রধান উদ্দীপক। দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক চাপ থাকলে মাথাব্যথা বাড়তে পারে। তাই মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা, বিশ্রাম নেওয়া ও মেডিটেশন চর্চা করা জরুরি।

২. অনিদ্রা:
পর্যাপ্ত ঘুম না পেলে শরীরের ক্লান্তি ও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা মাইগ্রেন বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো ও অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়া মাইগ্রেন প্রতিরোধে কার্যকর।

৩. খাবারে অনিয়ম:
খাবারের সময় ঠিক না রাখা বা হঠাৎ খাবার বাদ দেওয়া অনেকের জন্য ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। তাই সময়মতো পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও দীর্ঘ সময় খালি পেটে না থাকা জরুরি।

৪. পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া (ডিহাইড্রেশন):
শরীরে পানির ঘাটতি হলে রক্তপ্রবাহে প্রভাব পড়ে এবং ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে মাইগ্রেন তীব্র হতে পারে। প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি পান করা অভ্যাসে আনতে হবে।

৫. উজ্জ্বল আলো:
অতিরিক্ত আলো বা ঝলমলে পরিবেশ মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ায়। তাই ব্যথা শুরু হলে নীরব ও অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম নেওয়া উপকারী।

৬. অতিরিক্ত ক্যাফেইন:
অল্পমাত্রায় ক্যাফেইন মাথাব্যথা কমাতে সহায়তা করতে পারে, তবে অতিরিক্ত কফি বা চা পান উল্টো মাইগ্রেনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই ক্যাফেইনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।

৭. উচ্চ শব্দ:
জোরে গান, যানবাহনের হর্ণ বা অন্য কোনো তীব্র শব্দ মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে পারে। শান্ত পরিবেশে থাকা ও শব্দ এড়িয়ে চলা মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
যথেষ্ট ঘুম, নিয়মিত খাবার, পর্যাপ্ত পানি পান এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখলে মাইগ্রেনের পুনরাবৃত্তি কমানো সম্ভব। সচেতন জীবনযাপনই মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement