ড. ইউনূসকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ড. ইউনূসকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৯:০৯, ৮ নভেম্বর ২০২৫

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘কথা বলার ক্ষেত্রে সংযত’ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল যোশীর সঙ্গে একান্ত আলাপে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে এই বার্তাটি দেন তিনি — যা ফার্স্টপোস্ট ও অন্যান্য গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে রাজনাথ সিং বলেন, নয়াদিল্লি বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ বা টানাপড়েনভিত্তিক সম্পর্ক চায় না। তিনি জানান, অধ্যাপক ইউনূসের উচিত হবে নিজের বক্তব্যে সতর্ক থাকা এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি বরাবরের মতোই সংযত ভাব বজায় রাখা। পাশাপাশি তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারত যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হলেও তাদের মূল লক্ষ্য হলো প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করা।

মূলত গত বছরের পরিপ্রেক্ষিত ও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে ঢাকা–নয়াদিল্লির সম্পর্ককে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও, ভারত যে দূরত্ব বজায় রাখতে চায় তা নিজের কণ্ঠে তুলে ধরেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। রিপোর্টগুলোতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সরকারের পরিবর্তনের পর সাম্প্রতিক কালে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পরিপ্রেক্ষিত আরও সেনসিটিভ হয়ে উঠেছে—এটিই আলোচনার মূল সূত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে।

প্রতিবেদনগুলো জানায়, গত কয়েক মাসে ড. ইউনূসের কিছু বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড—বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের জেনারেল এবং সফররত তুর্কি সংসদ প্রতিনিধিদলকে তিনি উপহার হিসেবে দেওয়া একটি প্রকাশনা—নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছে। ওই প্রকাশনায়, সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮–এর তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, কথিতভাবে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ ধারণা ও নিয়োজিত ভূ-রাজনৈতিক জল্পনাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে; যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

নির্দিষ্টভাবে, নিউজ১৮–র উল্লেখিত প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে উপহারটি এমন কিছু কনটেন্ট ধারণ করে যা কূটনৈতিকভাবে সংবেদনশীল—যেমন যুদ্ধে বিজয়ের পর প্রশাসনিক কাঠামো ও কৌশলগত পরিকল্পনার রূপরেখা—যাকে ভারতীয় বোঝাপড়ার বাইরে থাকা হিসেবে দেখা হয়েছে। এসব আলোচনার প্রেক্ষাপটে রাজনাথ সিং বাংলাদেশের শীর্ষ পরামর্শদাতাদের বক্তব্য ও আচরণে সতর্কতার মতো বার্তা দিয়েছেন।

এই সব বিবেচনায় দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন এড়াতে মিথস্ক্রিয়া ও সংলাপের প্রয়োজনীয়তা আরও জোরালোভাবে浮 ওঠে। প্রশ্ন থাকে—যেসব বিতর্কিত বিষয় সামনে এসেছে, তা কতটা গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যাবে এবং ভবিষ্যতে পারস্পরিক বোঝাপড়া বজায় রাখার জন্য কি ধরনের কূটনৈতিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

 

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement