রাজস্থানের জয়পুরে এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী একটি শোকসংবেদনশীল ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে, যা এখন তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে।
পরিবার অভিযোগ করছে, স্কুলে তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করা হতো, যার কারণে তার পড়াশোনা প্রভাবিত হচ্ছিল এবং স্কুলে যাওয়াও তার জন্য চাপের বিষয় হয়ে উঠেছিল। ছাত্রী প্রায়ই স্কুলে যেতে চাইতো না এবং কান্নাকাটি করতো, কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ সত্ত্বেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
১ নভেম্বর, ওই ছাত্রী নিজেই স্কুলের পাঁচতলার বারান্দার রেলিংয়ে উঠেছে এবং পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ক্লাসরুম থেকে বারান্দায় এসে সে রেলিংয়ে ওঠে, তবে কিছু মহলের মতে এটি আত্মহত্যা নাও হতে পারে; পা ফসকে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, তার মেয়েকে স্কুলে যেতে ভালো লাগত না এবং প্রায় এক বছর ধরে এ সমস্যা ভুগছিল। এক অডিও রেকর্ডে মা শুনেছেন, “আমি স্কুলে যেতে চাই না, আমাকে পাঠিও না।” শ্রেণিশিক্ষিকাকে অডিওটি দেখানো হলেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাবা অভিযোগ করেছেন, স্কুলে অন্যান্য ছাত্ররা তাকে শারীরিক ও মৌখিকভাবে হেনস্তা করত। একবার অভিভাবক-শিক্ষক বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তাকে অন্যদের সঙ্গে মিশতে শিখতে হবে।
মৃত্যুর পর পুলিশ আসার আগেই স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল থেকে রক্তের দাগ মুছে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিবিএসই বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ক্লাসের সিসিটিভিতে অডিও রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক হলেও ওই স্কুলে তা করা হয়নি।
জয়পুর পুলিশ ডেপুটি কমিশনার রাজর্ষি রাজ বর্মা জানিয়েছেন, নিহতের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় কোনো মন্তব্য করেননি।
এই ঘটনা শিক্ষাব্যবস্থায় ছাত্রদের নিরাপত্তা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রশ্ন নতুন করে উত্থাপন করেছে।































