অতীতে যেসব মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হামলার শিকার হয়েছেন

অতীতে যেসব মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হামলার শিকার হয়েছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

Published : ১৪:২৭, ১৪ জুলাই ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী সভায় বন্দুক হামলা হয়েছে। 

কেবল ট্রাম্পই নন, দেশটির ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা রয়েছে। 

স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটে। গুলিতে ট্রাম্প প্রাণে বেঁচে গেলেও তার ডান কানের ওপরের অংশ ফুটো হয়ে গেছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ও সমাবেশে উপস্থিত একজন ট্রাম্প সমর্থক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

এর আগে ২০১৬ সালেও নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পের ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। ২০ বছর বয়সি এক ব্রিটিশ তরুণ লাস ভেগাসের পুলিশের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করে।
 
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের ওপর হামলার শুরু অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে শুরু হয়েছে। ১৮৬৫ সালে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আব্রাহাম লিংকনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

 তৎকালীন জনপ্রিয় মঞ্চ অভিনেতা জন উইলকস বুথ লিংকনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ১৮৮১ সালে জেমস গার্ফিল্ডকেও একইভাবে হত্যা করা হয়।
 
১৯০১ সালে আরেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ম্যাককিনলে নিউইয়র্কে গুলি করে হত্যা করা হয়। ম্যাকের মৃত্যুর পর তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট থিওডোরে রুজভেল্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। 

১৯১২ সালে থিওডোরে রুজভেল্টকেও নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে ভাষণ দেয়ার সময় গুলি করা হয়। যদিও তিনি প্রাণে বেঁচে যান কিন্তু নির্বাচনে উইড্রো উইলসনের কাছে হেরে যান।
 
১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ও আলোচিত হত্যাকাণ্ড। যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জন এফ কেনেডি ছাদ খোলা গাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৯৬৮ সালে আরেক কেনেডি, রবার্ট এফ কেনেডিকেও গুলি করে হত্যা করা হয়।
 
১৯৭৫ সালে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জেরাল্ড ফোর্ডকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ১৯৮১ সালে রোনাল্ড রিগানকেও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

কড়া নিরাপত্তাস্তর ভেদ করেও এসব হত্যাকাণ্ড দেশটির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের জন্য চিন্তার বিষয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া হামলার হার ডেমোক্রেটিকদের তুলনায় রিপাবলিকানদের ওপরেই বেশি করা হয়েছে। 

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement