অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি

Published : ২০:৫৭, ১০ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের পীরগাছার পর মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায়ও অ্যানথ্রাক্স উপসর্গে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর বিশেষজ্ঞরা জেলার পীরগাছার ৮ জন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগী নিশ্চিত করেছেন।
মানুষের অ্যানথ্রাক্স মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে—একটি পরিপাকতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়, আরেকটি শরীরের বাইরের অংশে প্রভাব ফেলে। পরিপাকতন্ত্রে সংক্রমিত হলে সাধারণত হালকা জ্বর, মাংসপেশীতে ব্যথা এবং গলাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। বাংলাদেশে যে অ্যানথ্রাক্স সাধারণত দেখা যায়, তা মূলত শরীরের বাইরের অংশে প্রভাব ফেলে এবং এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোঁড়া বা গোটা হয়ে থাকে।
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত সেইসব এলাকায় বেশি দেখা যায় যেখানে গবাদি পশু পালন হয়। গরু, ছাগল, মহিষের মতো প্রাণিগুলোর মধ্যে প্রথম দেখা যায় অ্যানথ্রাক্স। এসব প্রাণির মাধ্যমে এটি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায়।
আইইডিসিআর-এর পরিচালক মেহেরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশে অ্যানথ্রাক্স মূলত কিছু নির্দিষ্ট এলাকায়ই বেশি হয়ে থাকে। তিনি বলেন, “অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর মাংস জবাই, কাটাকাটি বা রান্নার সময় মানুষের সঙ্গে সংস্পর্শে এসে সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বিশেষত, যদি মানুষের শরীরে কোনো ক্ষত থাকে, তবে জীবাণু সহজেই প্রবেশ করতে পারে।”
মিজ ফ্লোরা আরও বলেন, “আমাদের দেশে অনেক সময় অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর মাংস কম দামে বিক্রি হয়ে যায়। মাংস কাটাকাটির সময় সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। তবে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হলেও অন্য মানুষের সঙ্গে সংক্রমণ হয় না।”
সূত্র: বিবিসি
বিডি/এএন