আইএমএফের পরামর্শ: বাংলাদেশে রাজস্ব ও আর্থিক সংস্কার চালু রাখুন

Published : ২১:১২, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বাংলাদেশকে রাজস্ব এবং আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশে চলমান ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য শিগগিরই আইএমএফের একটি দল বাংলাদেশ সফরে আসবে। এই সফরের মূল লক্ষ্য হবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা: প্রথমত রাজস্ব আহরণ বাড়িয়ে রাজস্ব খাতের সংস্কার, এবং দ্বিতীয়ত আর্থিক খাতের সংস্কার।
কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন আরও বলেন, চলমান কর্মসূচির সফলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের উচিত রাজস্ব এবং আর্থিক খাতসহ অন্যান্য মূল ক্ষেত্রগুলোতে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের সম্প্রতি প্রকাশিত আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীলতার দিকে ফিরে আসতে পারে।
প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৪.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা আগের অর্থবছরের ৩.৮ শতাংশের তুলনায় ভালো অবস্থান।
এছাড়া, প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির বিষয়েও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি ৮.৪২ শতাংশে নেমে আসতে পারে এবং পরের অর্থবছরে তা আরও কমে ৫.০৬ শতাংশে পৌঁছাবে।
তবে, আইএমএফের প্রতিবেদনে সতর্কবার্তাও আছে। মূল্যস্ফীতি হ্রাসের গতি এবং প্রত্যাশার তুলনায় ধীর গতির বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য এক চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এছাড়া, জ্বালানি সরবরাহে সীমাবদ্ধতা এবং বৈশ্বিক নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে সম্ভাব্য বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকির কথাও তারা তুলে ধরেছে।
সংক্ষেপে, আইএমএফের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য রাজস্ব ও আর্থিক খাতে সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে, এবং সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিডি/এএন