অস্তিত্বের প্রশ্নে সাহস নিয়ে দায়িত্ব পালন করুন: ইউএনওদের ইসি

অস্তিত্বের প্রশ্নে সাহস নিয়ে দায়িত্ব পালন করুন: ইউএনওদের ইসি ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১২:১৭, ২২ অক্টোবর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে “কনসিকোয়েনশিয়াল” বা গুরুত্বপূর্ণ পরিণতিযুক্ত নির্বাচন হিসেবে বর্ণনা করেছেন নির্বাচন কমিশনাররা।

এই নির্বাচন ঘিরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) সততা, সাহস ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন— কোনোভাবেই যেন কারও পক্ষ নেওয়া না হয়।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত “নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ” কর্মশালায় ইউএনওদের উদ্দেশে এসব বার্তা দেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

অনুষ্ঠানে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “অস্তিত্বের প্রশ্নে হিম্মত ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কেউ যেন ভয় না পায়।” তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের পর পরিস্থিতি কিছুটা অস্থিতিশীল ছিল, অনেকের প্রভাবে নানা কিছু ঘটেছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল, ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “দুটি কেয়ারটেকার সরকারের সময় সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা ও দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এখন আবারও তত্ত্বাবধায়ক ধরনের একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভয় না পেয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার এখনই সময়। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে হিম্মত দেখাতে হবে।”

ইউএনওদের সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর অনেক কিছু বদলে যাবে— আশেপাশে কেউ থাকবে না। তাই আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত রাখুন।”

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘কনসিকোয়েনশিয়াল’ নির্বাচন। ইউএনওদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে যেন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।”

তিনি আরও যোগ করেন, “সরকার এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায়। তাই প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না।”

নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়ন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, “দুই পক্ষের কেউ নিয়ম ভাঙলে তাকে ছাড় দেওয়া যাবে না। আগে ধরুন, কিন্তু ছাড়বেন না। মোবাইল কোর্টকে কার্যকর ও স্বচ্ছ রাখতে হবে এবং নিয়মিত পরিচালনা করতে হবে।”

সব মিলিয়ে, নির্বাচন কমিশনের বার্তা স্পষ্ট— আসন্ন নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক নয়, প্রশাসনিকভাবেও একটি বড় পরীক্ষা। ইউএনওদের ওপর নির্ভর করছে সেই পরীক্ষার সাফল্য।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement