ভোলায় সার কারখানার সম্ভাবনা দেখতে গেলেন ৩ উপদেষ্টা

ভোলায় সার কারখানার সম্ভাবনা দেখতে গেলেন ৩ উপদেষ্টা ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২১:৪০, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানী ও উপকূলীয় এলাকার ইউরিয়া সার ঘাটতি দূর করা, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় কমানো এবং ভোলায় নতুন কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার সেখানে একটি বৃহৎ সার কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সরকারের তিনজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ভোলা জেলার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

এই পরিদর্শনকারী দলের সদস্য ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।

তারা ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাট, বাফার গোডাউন নির্মাণ এলাকা, বিসিক শিল্পনগরী এবং শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ভোলা জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সেখানে আদিলুর রহমান খান জানান, ভোলায় প্রাপ্ত গ্যাস দেশের সার উৎপাদনে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা যাচাই করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সারা দেশে নির্মাণাধীন ৩৪টি বাফার গোডাউনের একটি ভোলায় তৈরি হচ্ছে, যা ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

গবেষণা অনুযায়ী, ভোলার গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে প্রায় ২.২৪ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। সরকার বছরে ৫.৬১ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন সক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। প্রাথমিক হিসেবে, কারখানাটি স্থাপনে প্রায় ৩০০ একর জমি প্রয়োজন হবে এবং ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। কারখানাটি চালু হলে বছরে প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ভোলায় উৎপাদিত গ্যাস ব্যবহার করে এখানেই সার কারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হচ্ছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement