বিচারকের ছেলে হত্যাকারী কে এই লিমন, রহস্য ঘনীভূত

বিচারকের ছেলে হত্যাকারী কে এই লিমন, রহস্য ঘনীভূত ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২০:৪৫, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাটি রাজশাহীতে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে লিমন মিয়া (৩৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। লিমনের বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায়।

লিমন মিয়া ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনের পাড়ার বাসিন্দা এবং এইচ এম ছোলায়মান হোসেন শহীদের ছেলে। তিনি উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং প্রায় সাত–আট বছর চাকরি করার পর ২০১৮ সালে স্বেচ্ছায় অবসর নেন।

অবসরের পর গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় বালুবাণিজ্যসহ নানা ধরনের ব্যবসায় যুক্ত হন। পাশাপাশি শেয়ারবাজারেও সক্রিয় ছিলেন বলে স্থানীয়দের মধ্যে ধারণা রয়েছে। এলাকাবাসী আরও জানান, তিনি ‘জিয়া সাইবার সোর্স’ নামে একটি সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারের বাবার বাড়ি গাইবান্ধা শহরের এটেস্টেটপাড়ায় হওয়ায় তাদের মধ্যে এলাকায় চলাফেরা ও যোগাযোগের সূত্রে লিমনের সঙ্গে পরিচয় গড়ে ওঠে এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কও তৈরি হয়। পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, লিমন প্রায়ই তাসমিন নাহারের কাছে আর্থিক সহায়তা চাইতেন। সাহায্য না পেয়ে তিনি নাকি ক্ষুব্ধ হয়ে একাধিকবার হুমকিও দিয়েছেন।

১৩ নভেম্বর রাজশাহীর ডাবতলা এলাকার ওই ভাড়া বাসায় ঢুকে লিমন তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে—এমনটাই জানায় পুলিশ। একই ঘটনায় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারও গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত অভিযানে নেমে সন্দেহভাজন লিমনকে আটক করে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, হত্যার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা, আর্থিক লেনদেন বা দীর্ঘদিনের বিরোধ যেকোনোটি ভূমিকা রাখতে পারে। সবদিক বিবেচনা করে তদন্ত চলছে।

আরও জানা গেছে, তাসমিন নাহার ৬ নভেম্বর সিলেটের জালালাবাদ থানায় লিমনের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। গ্রেপ্তারের পর লিমন একটি ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, তাদের ‘সম্পর্ক’ পাঁচ বছর ধরে চলছিল এবং পরিচয় হয়েছিল কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের একটি কার্যক্রমের মাধ্যমে।

ঘটনাটির পর রাজশাহীর স্থানীয় মহলে শোক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষ হলে আইনের আওতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement