আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিনই দেশে অনুষ্ঠিত হবে গণভোট, আর সেই লক্ষ্যেই সরকার ইতোমধ্যে গণভোট অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করেছে।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশন অফিসার ড. মো. রেজাউল করিম বিষয়টি আজ নিশ্চিত করেছেন। পরে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অফিসিয়াল পেজে গণভোট–সংক্রান্ত আটটি গুরুত্বপূর্ণ দিক প্রকাশ করে।
গণভোট সম্পর্কে প্রকাশিত মূল তথ্য
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী—
১. জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই কেন্দ্রে একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।
২. সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকাই গণভোটে ব্যবহৃত হবে।
৩. দুই ভোটই একই সময় শুরু ও শেষ হবে; সময়সীমা পুরোপুরি এক।
৪. ভোট দুটির জন্য আলাদা ব্যালটবক্স ও ভিন্ন রঙের ব্যালটপেপার থাকবে।
৫. নির্বাচন কর্মকর্তারা একইসঙ্গে দুই ধরনের ভোট পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন।
৬. গণভোটে মাত্র একটি প্রশ্ন থাকবে, যেখানে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’তে সিল দিয়ে মতামত জানাতে হবে।
৭. প্রবাসী ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে গণভোটে অংশ নিতে পারবেন।
৮. জাতীয় নির্বাচনের মতো একই পদ্ধতিতে দুই ভোটের গণনা একইসময়ে চলবে।
গণভোট অধ্যাদেশের প্রেক্ষাপট
অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫–এ প্রস্তাবিত সংবিধান সংস্কার বিষয়ে জনগণের মতামত যাচাইয়ের জন্য এই গণভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে গণআকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছিল, সেই সার্বভৌম জনমতকে প্রতিফলিত করতেই সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলো গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
সারসংক্ষেপে, জাতীয় নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার–সংক্রান্ত গণভোট এবার একই দিনে, একই ব্যবস্থায় এবং একই কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে—যা দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

































