জুলাই ঐক্যের লং মার্চে ‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো

জুলাই ঐক্যের লং মার্চে ‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৮:৩৫, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের দেশে ফেরত পাঠানো এবং কয়েকটি দাবি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি শেষ করেছে রাজনৈতিক সংগঠন জুলাই ঐক্য।

এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো’সহ বিভিন্ন নানান স্লোগান দেন।

কর্মসূচির সূচনা হয় বিকেল সাড়ে ৩টায় রামপুরা সেতু এলাকা থেকে লং মার্চের মাধ্যমে। পুলিশ বিকেল ৪টায় বাড্ডার হোসেন মার্কেটের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে লং মার্চকে সাময়িকভাবে থামায়। এরপর প্রগতি সরণিতে অবস্থান করে বক্তৃতা দেন জুলাই ঐক্যের নেতারা। লং মার্চ চলাকালীন সময় ওই সড়কে বিকেল ৩টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল।

লং মার্চে বক্তব্যকালে নেতারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব খুনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছে এবং ভারত তাদের আশ্রয় দিয়েছে। এই সন্ত্রাসীদের দ্রুত দেশে ফেরত আনা প্রয়োজন। তারা আরও মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ক্ষমতায় যেতে চায়। পূর্ববর্তী সময়ে শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের মাধ্যমে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা নতুন কোনো দলকে বরদাস্ত করা হবে না। বক্তারা সীমান্তে নিরীহ নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড বন্ধেরও দাবি জানান।

জুলাই ঐক্যের নেতারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, বর্তমান ভারতের আগ্রাসন বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রতিদান দেওয়া হবে এবং সেভেন সিস্টারকে স্বাধীন করতে সহায়তা করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ লং মার্চে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মিলে ‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো’ স্লোগান দেন। এছাড়া ‘যে ভারত খুন করে, সে ভারত ভেঙে দাও’, ‘যে ভারত হাসিনা পালে, সে ভারত ভেঙে দাও’সহ নানান স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। বিকেল পৌনে ৫টায় লং মার্চ কর্মসূচি শেষ হয়।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement