অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৯৭১ সালে যে মহান সংগ্রাম হয়েছিল, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান সেই আকাঙ্ক্ষারই একটি ধারাবাহিক রূপ—এমনটাই মনে করেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। তার মতে, ‘চব্বিশ’ আমাদের ইতিহাস ও চেতনাতেই ধারণ করা আছে।
তিনি বলেন, একটি সুন্দর ও ন্যায্য সমাজ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের তরুণ সমাজ যেভাবে বারবার সামনে এগিয়ে আসে, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান তারই স্পষ্ট প্রমাণ। এ তরুণদের তিনি মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদায় অভিহিত করেন এবং বলেন, এখানে তুলনার কোনো প্রয়োজন নেই; এটি আমাদের মুক্তির সংগ্রামেরই চলমান যাত্রা।
বিজয় দিবসের সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন শারমীন এস মুরশিদ। তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো ধরনের ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাখ্যা’ দেওয়ার বিষয়টিকে সমালোচনা করে বলেন, এ ধরনের ব্যাখ্যা দেশকে ছোট করে।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, একাত্তরে মানুষ গণতন্ত্র চেয়েছিল, সাম্য ও সমতা চেয়েছিল, ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছিল। তার প্রশ্ন, চব্বিশ কি এর বাইরে কিছু? তিনি বলেন, চব্বিশেও সেই একই ন্যায্যতা, সমান অধিকার ও গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাই প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি আরও মনে করেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর প্রত্যাশিত অনেক অর্জন বাস্তবায়িত না হওয়াতেই চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে। শিক্ষাবিদ খান সারওয়ার মুরশিদের সন্তান শারমীন এস মুরশিদ বলেন, চব্বিশকে একাত্তরের সঙ্গে তুলনা করে ছোট করার কোনো প্রয়োজন নেই। একইভাবে একাত্তরকে বিতর্কিত করারও কোনো দরকার নেই।
বরং একাত্তর আমাদের জন্য গভীর গর্বের জায়গা—এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই মহান ইতিহাস নিয়ে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দেওয়া মানে দেশকে খাটো করা, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
































