সোমবারের চেয়ে সোনার বাজারে পতন

সোমবারের চেয়ে সোনার বাজারে পতন ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৪:০৮, ৪ নভেম্বর ২০২৫

শক্তিশালী ডলারের কারণে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সোনার দাম আবারও প্রতি আউন্স ৪ হাজার ডলারের নিচে নেমে গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কম এবং ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য সংক্রান্ত উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সোনার প্রতি আগ্রহ কিছুটা কমে এসেছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় স্পট গোল্ডের দাম ০.৪ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ৩,৯৮৪.৪৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে সোনার দাম ০.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩,৯৯৪.৪০ ডলারে লেনদেন হয়েছে।

ডলারের স্থিতিশীলতা তিন মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকায় ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে হিসাব করছেন। কে–সিএম ট্রেডের প্রধান বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার বলেন, “শক্তিশালী ডলার এখন সোনার জন্য কাঁটার মতো কাজ করছে। বছরের শেষ দিকে আরেক দফা সুদের হার কমানো হবে কি না, তা ট্রেডাররা যাচাই করছেন।”

গত সপ্তাহে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমালেও চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল জানিয়েছিলেন, এ বছর আরেকটি হার কমানো নিশ্চিত নয়। সিএমই’র ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, ডিসেম্বরের বৈঠকে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা এখন ৬৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের অবস্থার তুলনায় (৯০ শতাংশের বেশি) কম।

ফেড কর্মকর্তারা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। ডিসেম্বর নীতি বৈঠকের আগে এই বিতর্ক আরও জোরালো হতে পারে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার শাটডাউনের কারণে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্যের প্রকাশ বিলম্বিত হওয়ায়।

সাধারণত, কম সুদের হার ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে সোনা বিনিয়োগকারীদের কাছে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বিবেচিত হয়। বিনিয়োগকারীরা এখন বুধবার প্রকাশিতব্য এডিপি কর্মসংস্থান রিপোর্ট এবং এই সপ্তাহের আইএসএম পিএমআই সূচকের দিকে নজর রাখছেন, যা ফেডের পরবর্তী নীতিগত দিকনির্দেশনার সংকেত দেবে।

ওয়াটারারের মতে, যদি এডিপি রিপোর্ট দুর্বল হয়, তবে সোনার দাম পুনরুদ্ধার পেতে পারে। চলতি বছরে সোনার দাম প্রায় ৫৩ শতাংশ বেড়েছে, যদিও ২০ অক্টোবরের রেকর্ড সর্বোচ্চ দামের তুলনায় তা ৮ শতাংশেরও বেশি কম।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, বেইজিংয়ের কিছু ছাড়ের বিনিময়ে ওয়াশিংটন চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমাতে রাজি হয়েছে।

অন্যদিকে, রুপার দাম সামান্য ০.১ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ৪৮.০৫ ডলারে অবস্থান করছে। প্লাটিনামের দাম ০.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১,৫৬১.১০ ডলারে এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১.৬ শতাংশ কমে ১,৪২২.৪৩ ডলারে পৌঁছেছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement