রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত বেসরকারি চাকরিজীবী আবুল কালামের ব্যাংক হিসাবের ‘নমিনি’ সংক্রান্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো তথ্য বিভ্রান্তিকর ও ভুল বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ অক্টোবর। কালামের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়, যেখানে দাবি করা হয়, তার ব্যাংক হিসাবের নমিনি তার বোন এবং তাই তার স্ত্রী উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল বলে জানিয়েছেন কালামের স্ত্রী আইরিন আক্তার। তিনি জানান, মৃত স্বামীর ব্যবহৃত মুঠোফোন, পাসপোর্ট এবং মানিব্যাগ পুলিশে হস্তান্তরিত হয়েছিল। পরে পরিবারের সদস্যরা তেজগাঁও থানায় গিয়ে সমস্ত জিনিসপত্র বুঝে নিয়েছেন।
কালামের ছোট বোন লাইজু আক্তার স্পষ্ট করেছেন, বিয়ের আগে খোলা কিছু অ্যাকাউন্টে প্রাথমিকভাবে বোনদের নমিনি রাখা হয়েছিল, কিন্তু বিয়ের পর সেটি পরিবর্তন করে স্বামীর স্ত্রীর নামে করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ভাইয়ের জমি এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বর্তমানে নমিনি তার স্ত্রী।
আইরিন আক্তারও জানিয়েছেন, ব্যাংক হিসাবের নমিনি সম্পর্কিত তথ্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং কোনো তৃতীয় পক্ষকে প্রকাশ করা হয় না। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো খবর ভিত্তিহীন এবং পরিবারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
অপরদিকে, আইরিনের খালাতো ভাই আরিফ হোসেন বলেন, পরিবার থেকে কাউকেই এমন তথ্য দেওয়া হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার ফলে তারা বিব্রত হয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম কিশোর বয়সে মা–বাবাকে হারান এবং চার ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তিনি ২০১২ সালে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন এবং ২০১৮ সালে আইরিন আক্তারের সঙ্গে বিয়ে করেন। দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে, একজন ছয় বছর বয়সী ছেলে এবং একজন চার বছরের মেয়ে।
সারসংক্ষেপে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই; কালামের ব্যাংক হিসাবের নমিনি তার স্ত্রী, যা পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন।

































