সাইফুল আলম খান মিলন: সুখী ও দূর্নীতি মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে

সাইফুল আলম খান মিলন: সুখী ও দূর্নীতি মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৮:০১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জামায়াতে ইসলামী দেশে দূর্নীতি, চাঁদাবাজ মুক্ত ও সুখী সমৃদ্ধ শান্তির সমাজ কায়েম করতে আপোষহীন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও  ঢাকা-১২ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন।

তিনি আজ রাজধানীর খামারবাড়ি, মানিকমিয়া এভিনিউ, ইন্দিরা রোড, পূর্বরাজাবাজার, তেজগাঁও কলেজ এলাকায় শের-ই-বাংলা নগর থানা দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত ঢাকা-১২ আসনে মতবিনিময় সভা, গণসংযোগ ও পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা আমীর আবু সাঈদ মন্ডলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি তারিফুল ইসলামের পরিচালনায় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক  আ জ ম কামাল উদ্দিন, থানা শুরা কর্মপরিষদ সদস্য সোহেল খান, জামিল বিন হোসাইন,  আব্দুজ জাওয়াদ, মাওলানা রুহুল আমিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের থানা সভাপতি আক্তার হোসেন, ছাত্রশিবিরের শের-ই-বাংলা নগর থানা সভাপতি আকরাম হোসেন রাহিদ, এশিয়া প্যাসিফিক থানা সভাপতি যুবায়ের আহমেদ, তেজগাঁও কলেজ সেক্রেটারি পাপ্পু,  জামায়াত নেতা মমিনুল ইসলাম মিল্লাত, হাসান আল বান্না ও রাইয়্যান আত তাহাভি প্রমূখ।

উল্লেখ্য, প্রধান অতিথি শুরুতে আসরের নামাজের পূর্বে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাস মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দ্যেশে বক্তব্য রাখেন এবং পরবর্তীতে খামারবাড়ি, টিএন্ডটি মাঠ স্পোর্টস ক্লাব,  ইন্দিরা রোড হয়ে আমতলা পর্যন্ত গনসংযোগে অংশ নেন।  তিনি মাগরিবের নামাজের পর আমতলা সাকিনা মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দ্যেশে বক্তব্য রাখেন এবং পরবর্তীতে আমতলা এলাকায় ঢাকা-১২ আসনের সম্মানিত নাগরিকদের সাথে এক প্রাণবন্ত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

সভা শেষে পুনরায় গণসংযোগ শুরু করেন এবং  এশার নামাজের পর তেজগাঁও কলেজ মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দ্যেশে বক্তব্য রাখার মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম সমাপ্ত করেন ।

সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে যে আশাবাদের সৃষ্টি হয়েছিলো মহল বিশেষের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ও ক্ষমতার লিপ্সার কারণেই তা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিপ্লবোত্তর প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার, জুলাই গণহত্যাকারী বিচারের পর একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও মহল বিশেষের হঠকারিতার কারণেই অন্তর্র্বতী সরকার সে অবস্থান থেকে সরে আসার মওকা খুঁজছে।

তারা জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তিও দিতে চায় না। ফলে পুরোপুরি বিপ্লবই ব্যর্থ হওয়ার পথে। কিন্তু সচেতন ছাত্র-জনতা এসব ষড়যন্ত্র কোন ভাবেই মেনে নেবে না বরং প্রয়োজনে আবারো রাজপথে নেমে সকল গণদাবি আদায় করেই ছাড়বে। তিনি প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার, জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি, গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হওয়ার পর পিআর পদ্ধতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান জানান।     

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement