নির্বাচনের আগে আ.লীগ নেতাদের ফাঁসির আশঙ্কা

নির্বাচনের আগে আ.লীগ নেতাদের ফাঁসির আশঙ্কা ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২১:৪৭, ১১ অক্টোবর ২০২৫

সাবেক সংসদ সদস‍্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, মানুষের মুখে একটি ভয়ানক কথাবার্তা ছড়িয়ে পড়েছে—খুব শীঘ্রই আওয়ামী লীগের কয়েক নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে। শনিবার (১১ অক্টোবর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।

রনি বলেন, “একটি বিষয় মানুষের মুখে-মুখে ফুটছে। এটা সাধারণত তখনই ঘটে যখন মানুষের মুখে কথা চলে আসে—তার পর সেটি বাস্তবেও ঘটতে পারে।” তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, অতীতেও মানুষ বলেছিল শেখ হাসিনা দেশে নেই, তারা পালিয়ে যাবে; এমন কথাও উঠেছিল যে আওয়ামী লীগ পতন হবে। ২০২২–২৩ সালে এই ধরনের অশ্রদ্ধা ও সন্দেহ এতটাই ছড়িয়ে পড়েছিল যে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাও বলেছিলেন, “আমরা পালাই না, আমরা ভয় পাই না।”

রনি আরও বলেন, বর্তমানে আবার বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা ঘুরছে—কেউ বলছেন ড. ইউনূস সরকার ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না, সরকার টিকবে না; আবার কেউ বলছেন কিছু উপদেষ্টা পালাতে পারবেন না। তাঁর মতে, এসব কথাবার্তা মানুষের মুখে-মুখে ঘুরছে এবং বন্ধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বিশেষভাবে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনের আগে বিএনপির কড়া আক্রমণের আশঙ্কায় জনগণের মধ্যে এমন এমন বলেও শোনা যাচ্ছে যে, নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে। তিনি জানান, এই তালিকায় নাকি সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও পলকের নামও চলে এসেছে—তবে এমন কথা শোনা গেলেও আইনগত দিক, কীভাবে ও কখন—এসব বিষয়ে জনমনে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শাজাহান খান, দীপু মনি, কামরুল হাসনরাও কারাগারে থাকলেও তাদের নাম যে-রকমভাবে বেশি শোনা যাচ্ছে, তা নয়।

রনি অনুমান করেন, রাশেদ খান মেননের নাম কেন ফাঁসির তালিকায় এসেছে, তিনি সেটা বুঝতে পারছেন না—মেনন ছিলেন ভিন্ন একটি দলের প্রধান; দুর্নীতির অভিযোগ সত্য হতে পারে, কিন্তু তিনি সবসময়ই বিরক্তিকর রাজনীতিক ছিলেন না, মাঝে মাঝে এমনও কথা বলতেন যা সরকারকে আঘাত করত। এসব বিবেচনায় মেননের নাম কেন জনগণের মুখে ফাঁসির তালিকায় এসেছে, তা তিনি ব্যাখ্যা করতে পারেননি।

সাবেক এমপি আরও বলেন, জনগণের মধ্যে বৈপরীত্য আছে—এক দল বলছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না, অন্য দল বলছে ভোট হবে এবং বিএনপি যে কোনোভাবে ক্ষমতায় আসবে। তর্ক-বিতর্ক যত লম্বা হবে, ততই অনিশ্চয়তা বাড়ে—কিন্তু তাঁর মতে, নির্বাচনের আগে নেতাদের লক্ষ্য করে এমন হুমকি ও ফাঁসির ভয় ছড়ানো হলে তা নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করবে এবং দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য ‘ভয়ানক সংকেত’ হিসেবে দেখা উচিত। তিনি সতর্ক করে বলেন, তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া বা নির্দিষ্ট কাউকে টার্গেট করে কার্যকর করা হলে তার দুঃস্বপরিণতি ভালো হবে না।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement