নিরাপত্তা কারণে কেবিন ক্রু পরিবর্তন ফ্লাইটে

নিরাপত্তা কারণে কেবিন ক্রু পরিবর্তন ফ্লাইটে ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০২:৫৩, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

লন্ডন থেকে আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। তাকে বহন করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি–২০২ ফ্লাইট, যা বুধবার সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। ফ্লাইটে তারেক রহমানের পরিবারের সদস্য এবং বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

তবে নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা এবং রাজনৈতিক সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে ফ্লাইট থেকে মধ্যরাতে দুই কেবিন ক্রু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে শনিবার দুপুরে জুনিয়র পার্সার মো. সওগাতুল আলম সওগাত এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস জিনিয়া ইসলাম জিনিয়ার নাম চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু গভীর রাতে প্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তাদের রাজনৈতিক সংযুক্তি এবং ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তার সম্ভাব্য ঝুঁকি উল্লেখ থাকায় তাদের দায়িত্ব বাতিল করা হয়। পরিবর্তে ফ্লাইটে কেবিন পার্সার মোস্তফা এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আয়াতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মো. সওগাতুল আলম এবং জিনিয়া ইসলাম অতীতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে শেখ সেলিমের বিভিন্ন ফ্লাইটে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতেন। তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগও রয়েছে।

এর আগে, ২ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফ্লাইট থেকেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম বিপন নামে দুই কেবিন ক্রুকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

বিমানের কেবিন ক্রু পজিশনিং কার্যক্রম পরিচালনা করে কাস্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের প্ল্যানিং ও সিডিউলিং শাখা। দীর্ঘদিন ধরে এই বিভাগের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাহনাজ বেগম। তার মাধ্যমে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ফ্লাইটের ক্রু পজিশনিং সম্পন্ন হয়েছে।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুই কেবিন ক্রুকে ফ্লাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বারবার কেন পতিত সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ ভিআইপি ফ্লাইটে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেন, একই ধরনের ঘটনা বারবার কেন ঘটছে তা খতিয়ে দেখা জরুরি। তবে তিনি তারেক রহমানের ফ্লাইটে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎপরতা এবং দায়িত্বশীলতাকে প্রশংসা করেছেন।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement