মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ও সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের নামাজে জানাজা রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। জানানো হয়, রোববার দুপুরে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার এলাকায় অবস্থিত ন্যাশনাল প্যারেড গ্রাউন্ডে মরহুম এ কে খন্দকারের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়।
এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য সামরিক জীবন ছিল অত্যন্ত সম্মানজনক। তিনি ১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে (পিএএফ) পাইলট অফিসার পদে কমিশন লাভ করেন। এরপর ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি একজন দক্ষ ফাইটার পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন।
১৯৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান এয়ার ফোর্স একাডেমিতে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর স্কুলে ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে কাজ করেন। এরপর জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
এ কে খন্দকার ১৯৬১ সাল পর্যন্ত পিএএফ একাডেমিতে স্কোয়াড্রন কমান্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে তিনি স্কোয়াড্রন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত। এরপর ট্রেনিং উইংয়ের অফিসার কমান্ডিং হিসেবে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি একাডেমিতে দায়িত্বে ছিলেন।
সামরিক জীবনের পরবর্তী সময়ে তিনি পিএএফ প্ল্যানিং বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৬৯ সালের আগ পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। একই বছরে তিনি ঢাকায় অবস্থিত একটি পিএএফ বেইসের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই প্রবীণ সামরিক কর্মকর্তার মৃত্যুতে দেশ একজন গুণী ও অভিজ্ঞ সেনানীকে হারাল।

































