ভারতের অরুণাচলকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করতে চায় চীন

ভারতের অরুণাচলকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করতে চায় চীন ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৯:২২, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি কংগ্রেসে যে বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তাতে চীনের ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্য ও সামরিক কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করা চীনা নেতৃত্বের একটি ‘মূল লক্ষ্য’।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অরুণাচলের পাশাপাশি তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরো এলাকাতেই পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় বেইজিং। চীনের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষার পেছনে রয়েছে ২০৪৯ সালের মধ্যে ‘চীনা জাতির মহান পুনর্জাগরণ’ অর্জনের লক্ষ্য। ওই পুনর্জাগরণের অংশ হিসেবেই অরুণাচল প্রদেশ, তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে যুক্ত করাকে বেইজিং ‘স্বাভাবিক ও অপরিহার্য প্রয়োজন’ হিসেবে বিবেচনা করে। নতুন কৌশল অনুযায়ী, পুনর্জাগরণ সম্পন্ন হওয়ার পর চীন বৈশ্বিক পর্যায়ে আরও শক্ত অবস্থান নেবে এবং এমন একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তুলবে, যারা যে কোনো ধরনের সামরিক অভিযানে অংশ নিতে ও বিজয় অর্জনে সক্ষম হবে। পাশাপাশি, দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতা, জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নমূলক স্বার্থ রক্ষাই হবে এই সেনাবাহিনীর প্রধান দায়িত্ব।

প্রতিবেদনে চীন–পাকিস্তান সামরিক সম্পর্ককেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের সঙ্গে বেইজিং ক্রমেই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করছে। দুই দেশ যৌথভাবে জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান তৈরি করছে। এছাড়া পাকিস্তানই এখন পর্যন্ত চীনের একমাত্র ক্রেতা, যারা জে-১০ যুদ্ধবিমান কিনেছে।

পাকিস্তানের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে চীন ড্রোনসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে পাকিস্তানের কাছে আটটি ইউয়ান-ক্লাস সাবমেরিন বিক্রির তথ্যও রয়েছে।

এছাড়া প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ভবিষ্যতে পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের বিষয়টিও বিবেচনা করছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement