কুড়িগ্রামে নিখোঁজের পর টয়লেট ট্যাংক থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার

Published : ১২:২৫, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নিখোঁজ আট বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির লাশ পাওয়া গেছে প্রতিবেশীর বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত যুবক মমিনুল ইসলাম ও তার নানার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ছিট মালিয়ানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুরসালিন মিয়া (৮) ওই এলাকার মশিউর রহমান মুছা ও মনজু দম্পতির ছোট ছেলে।
পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মমিনুল ইসলাম (২২) শিশুটিকে বলাৎকার করে হত্যার পর মরদেহ গুমের চেষ্টা করে। ঘটনার পর থেকে মমিনুল পলাতক। মরদেহ উদ্ধারের পর ক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত মমিনুল ও তার নানার বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ৯৯৯-এ ফোন করার পর পুলিশ গিয়ে ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মমিনুলের মা মহসেনা বেগম ও বোন ফাহিমা খাতুনসহ প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মঞ্জু বেগমকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মমিনুলকে পালাতে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। নিহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। আটক চারজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পরিবার জানায়, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বড় ভাইয়ের বিয়ের আলোচনা চলাকালে মমিনুল একাধিকবার মুরসালিনকে ডেকে নেয়। একসময় নিজ ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে মোবাইলে ভিডিও দেখার প্রলোভন দিয়ে বলাৎকারের পর হত্যা করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছেলেকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবার। মমিনুল ও তার মা শিশুকে দেখেনি বলে অস্বীকার করে এবং পরে তারা আত্মগোপন করে।
অবশেষে শনিবার রাত ৮টার দিকে মমিনুলের বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাংকে মুরসালিনের মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা।
নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মোফাজ্জল হোসেন জানান, দুটি বাড়ির পাঁচটি ঘরে আগুন লাগে। পৌঁছানোর আগেই ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, নিহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। আটক চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Source: Rtv Online
BD/AN