পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটি পালন শুরু করেছেন। তারা এর মধ্যে মূলত পল্লী বিদ্যুতের সংস্কার, চাকরিতে বৈষম্য দূরীকরণ এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধসহ চারটি দাবির বাস্তবায়ন চাচ্ছেন।
শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-দপ্তর সম্পাদক অঞ্জু রানী মালাকার এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, “একাধিকবার কমিটি গঠন এবং সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলেও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় তা কার্যকর করেনি। বরং আন্দোলনে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি, বদলি ও বরখাস্তসহ শাস্তিমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে। এতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে গভীর অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও বরখাস্ত করা কর্মীদের পুনর্বহাল করা এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তারা তুলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে পল্লী বিদ্যুত-সংশ্লিষ্ট ১৪ কোটি গ্রামীণ জনগণের জন্য উন্নত ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।
চার দফা দাবি:
১. আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা অন্যান্য বিতরণ সংস্থার মতো কোম্পানি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি এবং সব চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মীদের (মিটার রিডার, ম্যাসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক, পৌষ্য বিলিং সহকারী) নিয়মিতকরণ।
২. মামলা প্রত্যাহার করে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, সাময়িক বরখাস্ত ও অন্যায়ভাবে বদলি করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়নে বিদ্যুৎ বিভাগের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন বাস্তবায়ন।
৩. ২০২৫ সালের ১৭ আগস্ট থেকে বরখাস্ত, চাকরিচ্যুত ও সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগের কর্মস্থলে পুনর্বহাল। জরুরি সেবায় নিযুক্ত লাইনক্রুদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং কর্মসূচি চলাকালীন যোগ দিতে না পারা পাঁচজন লাইনক্রুকে পুনঃপদায়ন।
৪. পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আশাবাদী, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হবে এবং গ্রামীণ জনগণের বিদ্যুৎ সেবা আরও নিরবচ্ছিন্ন ও কার্যকর হবে।