গহিন পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান, নারী-শিশুসহ ৬৬ জন উদ্ধার

Published : ১১:০২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফে উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া পাহাড়ের গভীর আস্তানা থেকে নারী ও শিশুসহ মোট ৬৬ জনকে মুক্ত করেছে যৌথ বাহিনী। এদের মধ্যে রয়েছেন ২২ জন পুরুষ, ২৩ জন নারী এবং ২১ জন শিশু। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকের পাশাপাশি রোহিঙ্গারাও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টা সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে টেকনাফের দুর্গম কচ্ছপিয়া পাহাড়ের চূড়ায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী ও অপহরণকারী চক্র মালয়েশিয়ায় পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ সংগ্রহ করে টেকনাফে নিয়ে আসে। এরপর সমুদ্রপথে পাচারের আগে তাদের পাহাড়ের গহিন আস্তানায় আটকে রাখা হয়। অনেক সময় বিদেশে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও ঘটে। এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্প্রতি গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় খবর পাওয়া যায় যে, বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া পাহাড়ি আস্তানায় বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করে রাখা হয়েছে। তথ্যের ভিত্তিতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে অভিযান শুরু করে। অভিযানের সময় পাহাড়ের গহিনে মানবপাচারকারীদের একাধিক আস্তানা শনাক্ত করা হয় এবং সেখান থেকে বন্দিদশায় থাকা ৬৬ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শেষে কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, উদ্ধার হওয়া নারী, শিশু ও পুরুষদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরে তাদের যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনের কমান্ডার জানান, এ ঘটনার বিস্তারিত জানাতে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কেরনতলীতে কোস্টগার্ড স্টেশন প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হবে।
BD/AN