অস্ত্রসহ সনি হত্যা মামলার আসামি টগর গ্রেপ্তার

Published : ১২:২৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলার আসামি মুশফিক উদ্দীন টগরকে অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলিসহ আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালবাগের আজিমপুর এলাকায় বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি রিভলভার এবং ১৫৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মেধাবী শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি। দীর্ঘ দুই দশক পেরিয়ে গেলেও এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রধান দুই আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন।
মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়েই গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া।
২৩ বছর আগে বুয়েট ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মুশফিক উদ্দীন টগরের গ্রুপের মধ্যে দরপত্রকেন্দ্রিক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান সনি। সেদিন তিনি ক্লাস শেষে হলে ফিরছিলেন। এ ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনের সূচনা হয়।
২০০৩ সালের ২৯ জুন ঢাকার বিচারিক আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে ছাত্রদল নেতা মুশফিক উদ্দীন টগর, মোকাম্মেল হায়াত খান ওরফে মুকিত এবং নুরুল ইসলাম ওরফে সাগরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া পাঁচ আসামিকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
পরে ২০০৬ সালের ১০ মার্চ উচ্চ আদালত রায় পরিবর্তন করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তর করেন। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামির মধ্যে দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়।
মোট ছয় আসামির মধ্যে চারজন বর্তমানে কারাগারে থাকলেও মোকাম্মেল হায়াত খান ও নুরুল ইসলাম এখনও পলাতক। আরেক আসামি মুশফিক উদ্দীন টগর কারাভোগ শেষে মুক্ত হলেও সম্প্রতি ফের অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়লেন।
BD/AN