জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দায়িত্ব নিলেন হানিয়া আমির

Published : ১৯:০১, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির এবার দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন এক ভূমিকায় হাজির হচ্ছেন।
সমাজের প্রান্তিক ও অবহেলিত নারীদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে তিনি যুক্ত হয়েছেন জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ‘ইউএন উইমেন পাকিস্তান’–এর সঙ্গে। সংস্থাটির জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এই জনপ্রিয় তারকা।
এর মাধ্যমে হানিয়া আমির হয়ে উঠলেন পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী, যিনি এই সম্মানজনক দায়িত্বে নিযুক্ত হলেন। এর আগে ২০১৫ সালে বিশিষ্ট কর্মী ও শিল্পী মুনিবা মাজারি এই পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
নতুন দায়িত্বে হানিয়া কাজ করবেন নারীর ক্ষমতায়ন, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা এবং লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য দূরীকরণে। তাঁর লক্ষ্য—নিজের জনপ্রিয়তা ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে নারী ও কন্যাশিশুর অধিকার রক্ষায় সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।
দায়িত্ব গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় হানিয়া বলেন,
“ইউএন উইমেনের জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হওয়া শুধু সম্মানের নয়, এটি এমন এক সুযোগ যেখানে আমি তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারব, যাদের কণ্ঠস্বর অনেক সময়ই অনুচ্চারিত থেকে যায়।”
হানিয়ার এই অর্জন তাঁর ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাকেও তুলে ধরছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন শহরে বিনোদন ও সামাজিক উদ্যোগে অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন ‘গ্লোবাল স্টার অ্যাওয়ার্ড’।
অন্যদিকে, ভারতের আসন্ন পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র ‘সর্দারজি থ্রি’–এর মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনায় রয়েছেন এই অভিনেত্রী। ভক্তরা মনে করছেন, এই দায়িত্ব ও অভিনয়জীবনের নতুন অধ্যায় তাঁর ক্যারিয়ারে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
ইউএন উইমেন পাকিস্তানের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জামশেদ এম. কাজি বলেন,
“হানিয়া আমিরের নিষ্ঠা, সাহস এবং জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের অসাধারণ ক্ষমতা দেশের নারীদের অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে।”
সামাজিক সচেতনতা থেকে বিনোদনের জগৎ—সবখানেই এখন হানিয়া আমির এক নতুন অনুপ্রেরণার নাম।
বিডি/এএন