সামিরার দোষ নেই, মানসিক চাপে ভেঙেছিলেন সালমান: ডন
Published : ১৩:৪৯, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর মৃত্যু আজও রহস্যে ঘেরা। তার মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর যখন অপমৃত্যু মামলা হত্যা মামলায় রূপ নিচ্ছে, তখন আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন এই চিরচেনা ‘স্বপ্নের নায়ক’।
সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন নতুন করে আলোচনায় ফিরেছে পুরনো ভিডিও, সাক্ষ্য ও নানা বিশ্লেষণ—যেন আবারও শুরু হয়েছে সালমান শাহর মৃত্যু রহস্যের অনুসন্ধান।
মামলার প্রধান আসামি সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। আর অন্যতম আসামিদের একজন খলনায়ক আশরাফুল হক ডন, যিনি তালিকায় ৪ নম্বরে রয়েছেন। মামলায় আরও নয়জনের নাম রয়েছে—প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু এবং রেজভী আহমেদ ফরহাদ।
পাঁচ বছর আগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শেষে জানায়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন, তাকে হত্যা করা হয়নি। সেই সময় এই প্রতিবেদনে স্বস্তি প্রকাশ করেন ডন। তিনি বলেছিলেন, “আল্লাহ যা করেন ভালো জন্যই করেন। অবশেষে কলিজার বন্ধুকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্ত হলাম।”
তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই পুরনো সাক্ষাৎকার ও ভিডিওগুলো আবারও ভাইরাল হয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। চার বছর আগে উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের একটি টক-শোতে অতিথি হয়ে এসেছিলেন ডন। সেখানেই তিনি সালমান শাহর মৃত্যুকে ঘিরে নিজের অবস্থান ও অভিজ্ঞতা খোলামেলা তুলে ধরেছিলেন।
সাক্ষাৎকারে জয় তাকে সরাসরি প্রশ্ন করেন—“সালমান ভাইয়ের আত্মহত্যার জন্য দায়ী কে হতে পারেন? তাঁর মা, না স্ত্রী?”
প্রথমে প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়ে ডন উত্তর দেন, “এটা পুরোপুরি পারিবারিক বিষয়।” পরে তিনি বলেন, “সামিরার কোনো দোষ আমি দেখি নাই।”
ডন আরও জানান, “সালমানের সঙ্গে সামিরার যেমন প্রেম ছিল, তেমন প্রেম আমি জীবনে দেখিনি।” তিনি বলেন, “সালমান ছিল সুপারস্টার—টাকা, বাড়ি, গাড়ি—সবকিছুই ছিল তার। কিন্তু শেষ ছয়-সাত মাসে ওকে কখনো স্থির দেখি নাই। সবসময় ভেতরে ভেতরে অস্থির থাকত।”
ডনের মতে, জীবনের শেষ সময়টায় সালমান শাহ ভীষণ মানসিক চাপে ছিলেন। খ্যাতি, সম্পর্ক, ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন ও মানসিক অস্থিরতা মিলেই তাকে এক গভীর হতাশার মধ্যে ঠেলে দেয়। সেই হতাশাই শেষ পর্যন্ত তাকে এমন এক পরিণতির দিকে নিয়ে গিয়েছিল, যা এখনো কোটি দর্শকের হৃদয়ে অমোচনীয় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে আছে।
বিডি/এএন

































