সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের দেশত্যাগরোধে সীমান্তে নজরদারি
Published : ১৬:২১, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহের মৃত্যু নিয়ে দীর্ঘ ২৯ বছর পর আবারও নতুন মোড় এসেছে তদন্তে। এবার রমনা থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে উল্লেখ করে নতুন একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২১ অক্টোবর দায়ের হওয়া এই মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে রয়েছেন সালমান শাহের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি এবং চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডনসহ আরও কয়েকজন পরিচিত নাম।
মামলাটি দায়েরের পর থেকেই আসামিদের দেশত্যাগ রোধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ভারত সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে জারি করা হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ২৬ অক্টোবর সকাল থেকেই হিলি চেকপোস্টে শুরু হয় কড়াকড়ি নজরদারি। জানা গেছে, সীমান্তপথে যেসব যাত্রী যাতায়াত করছেন, তাদের মুখমণ্ডল ও পরিচয় তথ্য হত্যা মামলার আসামিদের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। পাসপোর্ট যাচাই শেষে পরিচয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কারও দেশত্যাগের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, “সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিরা যাতে এই পথ ব্যবহার করে ভারত পালাতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা পেয়েছি। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের টিম অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে কোনোভাবেই আসামিরা দেশ ত্যাগ করতে না পারে।”
দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পর এ মামলায় নতুন করে দায়ের হওয়া অভিযোগের পর আবারও আলোচনায় ফিরে এসেছে সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্য। ভক্তদের প্রত্যাশা, এবার হয়তো প্রিয় নায়কের অকাল মৃত্যুর পেছনের সত্যটা অবশেষে বেরিয়ে আসবে।
বিডি/এএন

































