আবারও বিয়ে করলেন আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহার: নতুন শুরু
Published : ২০:৪৪, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান ও তার সাবেক স্ত্রী সাবিকুন নাহারের মধ্যে গত ২১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ ঘটে। তবে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে তাদের জীবনে নতুন মোড় আসে—দু’জন আবারও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ আবেগঘন পোস্টে বিষয়টি জানিয়ে দেন সাবিকুন নাহার। একই সঙ্গে কেন এই পুনরায় এক হওয়া, কীভাবে সম্পর্কের জট খুলল—এসব প্রশ্নের জবাবও তুলে ধরেন তিনি।
সাবিকুন নাহার লেখেন, পৃথিবী আসলে খুবই ক্ষণস্থায়ী, প্রতিনিয়ত প্রতারণা আর বিভ্রান্তিতে ভরা। মানুষের আসল সফলতা তো পরকালের হিসেব-নিকেশেই নির্ধারিত হবে। তাই এসব ভাবনা থেকেই আজ তিনি নিজের হৃদয়ের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করছেন। তার ভাষায়—কে কী বলবে তা নিয়ে আর কোনো পরোয়া নেই।
তিনি আরও জানান, সন্তানদের বাবা-মাকে খোঁজার টানই ছিল তাদের নতুন সিদ্ধান্তের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। বিশেষ করে মেয়েটি আয়িশা প্রতিনিয়ত বাবার কথা বলে—বাবাকে ডাকছে, বাবার কাছে যেতে চাইছে। সেই শব্দগুলোর ভার ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে উসমান তার মাকে না পেয়ে মানসিকভাবে ভীষণ অস্থির হয়ে পড়েছিল। অন্য শিশুদের ‘আম্মু’ ডাকে ছুটে যেতে দেখে উসমানের চোখে মায়ের প্রতি প্রত্যাশা আরও স্পষ্ট হচ্ছিল।
বিচ্ছেদ নিয়ে সাবিকুন নাহার লিখেছেন, অতীতে যা ঘটেছে তা যেন অবশ্যম্ভাবী পরিণতি ছিল। তবুও ‘জানা’ আর ‘অনুভব করা’—দুইয়ের পার্থক্য অনেক বড়। তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল, কিছু জায়গায় নিজেরাও ভুল করেছেন। আবার শয়তানের প্ররোচনা বা নেতিবাচক পরিস্থিতিও ভূমিকা রেখেছিল কি না—সেটাও প্রশ্ন হিসেবে তুলেছেন তিনি।
তার ভাষায়, হয়তো এটিই ছিল তাদের তাকদিরে লেখা। যেমন গ্রহণের সময় চাঁদের আলো বাধাগ্রস্ত হয়, কিন্তু তাতে চাঁদ কলঙ্কিত হয় না। তেমনি আবু ত্বহা তার চোখে সবসময়ই নিজের চাঁদ ছিলেন। শয়তানের প্রভাবকে দূরে ঠেলে তারা আবারো ফিরে এসেছেন একে অপরের কাছে।
তিনি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, উসমান ও আয়িশা এখন আবার তাদের বাবা-মাকে একসঙ্গে পেয়েছে। তাদের সংসার নতুন করে জেগে উঠেছে।
স্বামীকে কষ্ট দেওয়ার বিষয়টিও অকপটে স্বীকার করেছেন সাবিকুন নাহার। লিখেছেন, তিনি নিজের মোহাব্বত, সংসার, পরিবার—সবকিছু আবার ফিরে পেয়েছেন। তিনি সবসময়ই আবু ত্বহাকে নিজের হৃদয়ের স্পন্দন বলে মনে করেছেন। ভুল বোঝাবুঝির কারণে স্বামী যে আঘাত পেয়েছেন, সেই দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি। আবু ত্বহার ধৈর্য, সহনশীলতা এবং নীরবতার প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা উল্লেখ করে দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দেন।
শেষে তিনি আরও লেখেন, তিনি হয়তো স্বামীর প্রত্যাশিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেননি, কিন্তু দ্বীনের পথে, আল্লাহর সন্তুষ্টির তরে নিজেকে প্রমাণ করতেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আল্লাহ চাইলে অচিরেই সব ভুল বোঝাবুঝি ও অযাচিত বিতর্ক পরিষ্কার হবে এবং সত্য উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
বিডি/এএন


































