রংপুরে নতুন করে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক

Published : ০০:৩২, ১ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরের পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স ধরা পড়ার পর এবার একই জেলার মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায়ও অ্যানথ্রাক্স উপসর্গযুক্ত রোগী পাওয়া গেছে।
ইতোমধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর বিশেষজ্ঞ দল পীরগাছায় আটজন রোগীর শরীরে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ নিশ্চিত করেছেন।
মানুষের অ্যানথ্রাক্স কেমন হয়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের অ্যানথ্রাক্স মূলত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। এক ধরনের অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ হয় পরিপাকতন্ত্রে, অন্যটি হয় শরীরের বাইরের অংশে।
বাংলাদেশে সাধারণত যে অ্যানথ্রাক্স বেশি দেখা যায় তা হলো ত্বকের অ্যানথ্রাক্স। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোঁড়া বা গোটার মতো ক্ষত তৈরি হয়। আর যদি অ্যানথ্রাক্স জীবাণু হজমতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়, তবে জ্বর, মাংসপেশীর ব্যথা কিংবা গলা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায় অ্যানথ্রাক্স
আইইডিসিআর পরিচালক মেহেরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা জানান, দেশে কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় অ্যানথ্রাক্স রোগ প্রায়ই দেখা দেয়। বিশেষ করে যেখানে গবাদি পশু পালন করা হয়— যেমন গরু, ছাগল বা মহিষের মধ্যে এ রোগ প্রথম ধরা পড়ে। পরে আক্রান্ত পশুর মাধ্যমেই মানুষের শরীরে অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে যায়।
তিনি বলেন, “অ্যানথ্রাক্স সবচেয়ে বেশি ছড়ায় আক্রান্ত পশু জবাই করার সময়। মাংস কাটাকাটি বা ধোয়ার সময় রক্ত, হাড় কিংবা মাংসের সংস্পর্শে আসলেই সংক্রমণ ঘটতে পারে।” মানুষের শরীরে যদি কোনো ক্ষত থাকে, সেখান দিয়েই জীবাণু প্রবেশের ঝুঁকি থাকে।
রোগ ছড়ায় না মানুষ থেকে মানুষে
ড. ফ্লোরা আরও উল্লেখ করেন, অনেক সময় আক্রান্ত পশু জবাই করে তার মাংস কম দামে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেই মাংস কাটার সময়ও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন— অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত মানুষ থেকে অন্য মানুষে এ রোগ ছড়ায় না।
বিডি/এএন