কর্মী ছাঁটাইয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল অ্যামাজন

কর্মী ছাঁটাইয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল অ্যামাজন ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১২:০৮, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন আবারও বড় ধরনের পুনর্গঠনের পথে হাঁটছে। এবার প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-নির্ভর অটোমেশন বাড়াতে গিয়ে প্রায় ১৪ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা বাড়ানোর কৌশলের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ। করোনা মহামারির পর এটিই তাদের সবচেয়ে বড় ছাঁটাই কার্যক্রম।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে অ্যামাজন জানায়, খরচ নিয়ন্ত্রণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং কার্যক্রমের কাঠামো সরলীকরণের উদ্দেশ্যে করপোরেট পর্যায়ে এই কর্মী ছাঁটাই করা হবে।

অ্যামাজনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বেথ গালেত্তি কর্মীদের উদ্দেশে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, “গ্রাহকের বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রয়োজন অনুযায়ী বিনিয়োগ করাই আমাদের লক্ষ্য। এখন আমাদের প্রধান মনোযোগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে।”

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, AI ও মেশিন লার্নিং–ভিত্তিক সেবা সম্প্রসারণের জন্য এই বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে ই-কমার্স ব্যবসার বিভিন্ন ইউনিট—মানবসম্পদ, ডিভাইস, সার্ভিসেস ও ওয়েব সার্ভিস বিভাগে বড় প্রভাব পড়বে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল ছাঁটাইয়ের সংখ্যা ৩০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। তবে প্রাথমিক ধাপে ১৪ হাজার কর্মীকে বিদায় দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে ২০২২ সালেও অ্যামাজন প্রায় ২৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল। গত জুনে সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি বলেছিলেন, জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের ধরন পাল্টে দেবে।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, অ্যামাজন প্রথমবারের মতো খোলাখুলিভাবে জানিয়েছে যে এআই ব্যবহারের কারণে সরাসরি কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে। যদিও এ বছর আরও বহু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করলেও, তাদের মধ্যে খুব কমই স্বীকার করেছে যে এর মূল কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বয়ংক্রিয়তার অগ্রগতি।

সব মিলিয়ে, বিশ্লেষকদের মতে, অ্যামাজনের এই সিদ্ধান্ত কেবল একটি কোম্পানির পরিবর্তন নয়—বরং এটি নির্দেশ করছে, ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্র ধীরে ধীরে মানবশক্তি থেকে প্রযুক্তিনির্ভর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে রূপান্তরিত হচ্ছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement