তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপিল শুনানি স্থগিত, ২ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপিল শুনানি স্থগিত, ২ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৬:১১, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের বিষয়ে আপিলের শুনানি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই মামলার পঞ্চম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চতুর্থ দিনের শুনানি শেষ হয়। এইদিন জামায়াতে ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তৃতীয় দিনের শুনানি ২৩ অক্টোবর শেষ হয়, যেখানে ইন্টারভেনর হিসেবে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ২২ অক্টোবর, রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। এ শুনানির ঠিক আগের দিন ২১ অক্টোবর আপিলের প্রথম দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

এর আগের ঘটনা অনুযায়ী, গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয় এবং আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল দায়ের করেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয় সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে, যা জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করেন।

এরপর সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে আপিল করা হয় এবং ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। রায়ের পর পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশ করা হয়।

গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয় সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির পক্ষ থেকে। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

এছাড়া ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং গত বছরের ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আলাদা আবেদন করেন।

সারসংক্ষেপে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের বিষয়টি বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন, আর আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখা হয়েছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement