প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সরকারের অবস্থান এ বিষয়ে সম্পূর্ণ স্পষ্ট এবং এতে কোনো ধরনের বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শফিকুল আলম জানান, যেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বর্তমানে নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন দলটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে, সেহেতু দলটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আইনগত সুযোগ হারিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত সুস্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে এবং সেই সিদ্ধান্তের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ও সরকারের ঘোষণার আলোকে দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রশ্নই ওঠে না।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঁচজন মার্কিন আইনপ্রণেতার একটি চিঠি দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব জানান, তিনি ওই চিঠিটি দেখেননি এবং বিষয়টি সম্পর্কে তার কোনো জানা নেই।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশের আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তখনই জানানো হয়, জননিরাপত্তা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতেই এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
