পেঁয়াজে কালো দাগ? সতর্ক হোন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে
Published : ০২:০৮, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
ভোজনপ্রিয় বাঙালির রান্নাঘরে পেঁয়াজের গুরুত্ব অপ্রতিরোধ্য—সালাদ হোক বা রান্নার বিভিন্ন পদ, পেঁয়াজের উপস্থিতিই স্বাদের মৌলিকতা নিশ্চিত করে।
কিন্তু এই সাধারণ ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় উপাদানটি মাঝে মাঝে স্বাস্থ্যের জন্য অচেনা, নীরব বিপদের কারণও হয়ে উঠতে পারে। বিশেষত পেঁয়াজের খোসা ছাড়ালে যদি কালচে বা ছত্রাকের মতো দাগ দেখা যায়, তবে সেটি হতে পারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ, যা কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ছত্রাকটির নাম অ্যাসপারগিলাস নাইজার, যা সাধারণত মাটিতে জন্মায় এবং মাটির নিচে লুকানো পেঁয়াজকে সহজেই সংক্রমিত করতে পারে। পেঁয়াজের বাইরের খোসা সরালে কালো বা বাদামী ছোপের আকারে এই সংক্রমণ স্পষ্ট দেখা যায়। এই দাগগুলো হাতে ছুঁলে সহজেই উঠে যেতে পারে, যা সংক্রমিত পেঁয়াজের প্রধান চিহ্ন।
সংক্রমিত পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা যেমন—মাথাব্যথা, পেটব্যথা, বমি বা ডায়রিয়া—উদ্ভব হতে পারে। যদিও সাধারণত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রাণঘাতী নয়, তবুও যাদের অ্যালার্জি, হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে সংক্রমিত অংশ খাওয়া থেকে বিরত থাকা সবচেয়ে নিরাপদ।
যদি পেঁয়াজে কালো বা বাদামী দাগ দেখা যায়, তবে খোসা ছাড়িয়ে অন্তত এক বা দুই স্তর ফেলে খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে সবচেয়ে নিরাপদ হলো এই দাগযুক্ত অংশ সম্পূর্ণ এড়ানো। ফ্রিজে সংরক্ষণ করলেও ছত্রাকের বৃদ্ধি থামানো যায় না, তাই দীর্ঘদিনের জন্য পেঁয়াজ সংরক্ষণ না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
পরামর্শ অনুযায়ী, পেঁয়াজ খাওয়ার আগে ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে এবং প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। এতে পেঁয়াজের স্বাদ বজায় থাকলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
বিডি/এএন


































