কোন পানীয়গুলো স্বাস্থ্যকর কফির বিকল্প হিসেবে?
Published : ০১:৫৮, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
সকাল হোক বা রাত, অনেকের অভ্যাস কফিতে বারবার চুমুক দেওয়ার। কফিপ্রেমীদের মতে, কফি না থাকলে মন বসে না, কাজ করতে মন যায় না এবং মেজাজও খারাপ থাকে।
তবে মাঝে মাঝে কফি খাওয়া ক্ষতিকর না হলেও, দিনের পর দিন একের পর এক কাপ কফি পান করা স্বাস্থ্যকর নয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীর ও স্নায়ুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এই কারণে কফির পরিবর্তে কিছু স্বাস্থ্যসম্মত বিকল্প পানীয় বেছে নেওয়া যেতে পারে, যা স্নায়ু সতেজ রাখবে এবং শরীরের ক্ষতি করবে না। চলুন, দেখে নিই কিছু কার্যকর বিকল্প:
গ্রিন কফি
সাধারণ কালো কফি রোস্ট করা কফিবীজ থেকে তৈরি হয়। অন্যদিকে, গ্রিন কফি তৈরি হয় কাঁচা বা অপরিপক্ব সবুজ কফিবীজ থেকে। এতে ক্যাফেইনের পরিমাণ কম থাকে, ফলে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাবও তুলনামূলকভাবে কম। প্রক্রিয়াজাতকরণের পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে গ্রিন কফিতে ক্যাফেইনের মাত্রা ঠিক করা হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, গ্রিন কফিতে সাধারণ কফির তুলনায় কিছু বাড়তি পুষ্টিগুণও রয়েছে।
মাচা
মাচা হলো এক ধরনের জাপানি গ্রিন টি, যা সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। সাধারণ চা বা কফির তুলনায় এতে ক্যাফেইনের মাত্রা কম। পাশাপাশি, এতে এসিডিটি কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাচাতে প্রচুর পরিমাণে ‘ক্যাটেসিন’ নামের ফ্ল্যাভনয়েড থাকে, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।
পুদিনা-চা
মাথা ব্যথা বা ক্লান্তি কমাতে অনেকেই কফি খোঁজেন, তবে এর চেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে পুদিনা-চা। এতে সাধারণ চা পাতার ব্যবহার হয় না, ফলে ক্যাফেইন থাকে না। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ভয়ও থাকে না। পুদিনা-চা হজমে সাহায্য করে এবং এতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। গরম পানিতে টাটকা পুদিনাপাতা ফুটিয়ে, তা ছেঁকে মধু মিশিয়ে পান করলে শরীর সতেজ থাকে এবং মনও চাঙা থাকে।
এই বিকল্প পানীয়গুলো কফির মতোই সতেজতা দেয়, কিন্তু স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে না। সুতরাং প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে কফির পাশাপাশি এগুলোও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
বিডি/এএন
































