সম্পর্ককে সুস্থ ও টেকসই রাখা আজকাল সহজ কাজ নয়। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি বা ছোট-বড় নানা কারণে সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরতে শুরু করে এবং তা দ্রুত দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারে।
যদিও ভালোবাসা, আস্থা ও পারস্পরিক বোঝাপড়া সম্পর্কের মূল ভিত্তি, এই ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে গেলে সম্পর্কের বন্ধনও দুর্বল হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা সম্পর্কের ফাটল ধরানোর পাঁচটি প্রধান কারণ তুলে ধরেছেন, যা নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
১. সঙ্গীর জন্য সময় না দেওয়া:
বর্তমান জীবনে মানুষ তার ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত কাজে এতটাই ব্যস্ত যে প্রিয়জনের জন্য সময় বরাদ্দ করতে পারছে না। এই অভাব থেকেই শুরু হয় ভুল বোঝাবুঝি, অশান্তি এবং মানসিক দূরত্ব। সঙ্গীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং তাকে সময় দেওয়াই সম্পর্ককে স্থিতিশীল রাখে।
২. যোগাযোগের অভাব বা ব্যবধান:
যদি ব্যস্ততার কারণে বা রাগের বশে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়, তবে দূরত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে লং-ডিস্ট্যান্স সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিয়মিত এবং ধারাবাহিক যোগাযোগ অপরিহার্য। যোগাযোগের অভাব সহজেই সম্পর্কের বন্ধন দুর্বল করতে পারে।
৩. সঙ্গীকে পরিবর্তন করার চেষ্টা:
অনেকে তাদের সঙ্গীকে নিজের মতো করে গড়ে তুলতে চান এবং তার স্বভাব বা পছন্দ পরিবর্তনের চেষ্টা করেন। কিন্তু এই প্রচেষ্টা বিপরীত প্রভাব ফেলে। সম্পর্ককে দৃঢ় রাখতে হলে সঙ্গীর ব্যক্তিত্ব ও স্বাধীনতাকে গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪. পুরনো ঝগড়া টেনে আনা:
ঝগড়ার সময় অতীতের ভুল বা পুরনো বিষয়গুলো টেনে আনা সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। এতে সঙ্গীর প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা কমে যায় এবং সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
৫. বিশ্বাসের অভাব:
বিশ্বাস ও আস্থা ছাড়া কোনো সম্পর্ক টিকে থাকা কঠিন। বিশ্বাসের অভাব ছোট ছোট ভুল বোঝাবুঝিকেও বড় সমস্যা বানিয়ে দেয়, যা সম্পর্ককে দ্রুত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
সম্পর্ককে সুস্থ রাখতে হলে সময় দেওয়া, ধারাবাহিক যোগাযোগ রাখা, সঙ্গীর ব্যক্তিত্বকে গ্রহণ করা, ঝগড়ার সময় অতীতকে না টেনে থাকা এবং বিশ্বাস বজায় রাখা অপরিহার্য। এই পাঁচটি বিষয় মেনে চললে সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও টেকসই হয়।

































