কেউ ‘জিরো রিটার্ন’ দিলে ৫ বছরের জেল: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

Published : ১৪:১৩, ১০ আগস্ট ২০২৫
কর রিটার্ন দাখিল সহজ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনলাইন বা ই-রিটার্ন চালু করেছে। ঘরে বসে বা বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে করদাতারা রিটার্ন জমা দিতে পারছেন। তবে কর ফাঁকির উদ্দেশ্যে অনেক করদাতা রিটার্নে কোনো সম্পদ, ব্যাংকে থাকা এফডিআর, ফ্ল্যাট, বাড়ি বা গাড়ির তথ্য উল্লেখ করছেন না। বাধ্যতামূলক করায় তারা দোকানে বসে বা অন্যের মাধ্যমে ‘জিরো’ বা শূন্য রিটার্ন জমা দিচ্ছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)-এর এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আয়কর আইনে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো ধারণা বা বিধান নেই। এ ধরনের রিটার্নকে তিনি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ উল্লেখ করে সতর্ক করেন এবং জানান, করদাতা রিটার্নে যা ঘোষণা দেন, তা তার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য। যদি সেটি মিথ্যা হয়, আয়কর আইনে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই এনবিআর আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দেবে।
তিনি বলেন, “অনলাইনে সব ঘর শূন্য পূরণ করে রিটার্ন জমা দেয়া এক্সট্রেমলি ডেঞ্জারাস। করদাতা কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারবেন না, এমনকি ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড অন্য কাউকে দিলেও দায় তার নিজের।”
যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সেখানে জেলে থাকা অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ কর ফাঁকির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। “ব্যাংকে যদি কারো এফডিআর থাকে এবং তিনি শূন্য রিটার্ন দেন, রাজস্ব বিভাগের কাছে তথ্য থাকায় তা সহজেই প্রমাণ করা যায়,” তিনি যোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, কর প্রদান কারও দারিদ্র্যের কারণ হয় না, তবে জরিমানা ও পেনাল্টি অনেককে দেউলিয়া করে দেয়। রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য ব্যবসা টিকিয়ে রাখা ও দীর্ঘমেয়াদে কর আদায় নিশ্চিত করাই এনবিআরের লক্ষ্য।
বড় আকারের কর ফাঁকি শনাক্তে এনবিআরের গোয়েন্দারা কাজ করছেন জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ভবিষ্যতে আরও কঠোর প্রয়োগ দেখা যাবে।