শেখ হাসিনার মামলায় ট্রাইব্যুনালে রোববার সর্বশেষ সাক্ষ্যগ্রহণ

Published : ০০:১৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিন জনের বিরুদ্ধে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ৫৪তম ও শেষ সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেবেন মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এমএইচ তামিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রোববার সরাসরি সম্প্রচারিত হবে তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি ও জব্দ করা ভিডিও প্রদর্শনী। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এর সম্প্রচার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর মামলার ২২তম দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৮ সেপ্টেম্বরের দিন ধার্য করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ওই দিন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা। পরে তাঁকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
মামলায় অন্যান্য সাক্ষিদের মধ্যে রয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার রেকর্ড ও লাইব্রেরি ইনচার্জ মো. কামরুল হোসাইন এবং আনিসুর রহমান জবানবন্দি দিয়েছেন। ৪৯তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী।
গত ১০ জুলাই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি আদালতে জানিয়েছেন, “জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় আমাদের বিরুদ্ধে আনা হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যার অভিযোগ সত্য। আমি নিজেকে দোষী স্বীকার করছি এবং বিস্তারিত তথ্য আদালতকে জানাতে চাই।”
আদালত মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করেছেন এবং তাদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করেছেন। মামলায় তিন জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠা বিশদে সাজানো, যার মধ্যে তথ্যসূত্র ২,০১৮ পৃষ্ঠা, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪,০০৫ পৃষ্ঠা, এবং শহীদদের তালিকা ২,৭২৪ পৃষ্ঠা। মোট ৮১ জন সাক্ষী এই মামলায় রয়েছেন।
বিডি/এএন