ডিসি নারায়ণগঞ্জ: “বিশ্ববাসীকে দেখাতে চাই আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি”

Published : ০০:২৭, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত প্রতিটি পূজামণ্ডপ মনিটরিং-এর আওতায় রাখতে হবে।
শনিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা পরিষদের উদ্যোগে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের ২২৪টি পূজামণ্ডপে আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন, পূজা উদযাপন কমিটি, পুলিশ, আনসার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনে নিযুক্ত রয়েছেন। তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা যে উদ্দেশ্যে আয়োজন করছেন এবং যারা এতে অংশ নেবেন, তাদের উদ্দেশ্য যেন সফল হয়। যারা ধর্মীয় আচার পালন করতে আসবেন, তারা যেন নির্বিঘ্নে তা করতে পারেন। পূজা মণ্ডপে অতিরিক্ত ভিড় হলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হতে পারে। তাদের আশা ও উৎসাহ যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয়, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।”
এর আগে জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জের ২২৪টি পূজামণ্ডপে আর্থিক অনুদান বিতরণ করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর কুমার দে বলেন, “পূজার আগে মণ্ডপ পরিদর্শন করে কোনো ত্রুটি আছে কিনা তা দেখার নির্দেশনা দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।”
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য সচিব কার্তিক ঘোষ বলেন, “পূজার সময়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য এখনও কিছু কুচক্রী মহল সক্রিয় রয়েছে। প্রশাসনকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা নিজরাও মণ্ডপগুলো পরিদর্শন করব।”
ফ্রন্টের আহ্বায়ক অভয় কুমার রায় বলেন, প্রতিটি মণ্ডপ সিসিটিভির আওতায় রাখা উচিত।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন জানান, জেলা প্রশাসক সমস্ত পূজা উদযাপন কমিটির জন্য যে মহতী আয়োজন করেছেন, তার জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ পদ সাহা, সহ-সভাপতি উত্তম কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের সদস্য সচিব খোকন সাহাসহ ২২৪টি পূজামণ্ডপের নেতৃবৃন্দ।
বিডি/এএন