সৌদিতে আটকে থাকা ৩৮ কোটি টাকা ফেরত পেল বাংলাদেশ

Published : ১৫:৩৮, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
সৌদি আরব থেকে আটকে থাকা হজ এজেন্সিগুলোর অব্যয়িত অর্থ ফেরত আনা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সোমবার (১৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান,
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মাসার নুসুক প্ল্যাটফর্মে (আইবিএএন) মোট ৯৯০টি হজ এজেন্সির জমা থাকা অব্যয়িত অর্থের সবটাই বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফেরত আসা অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩৮ কোটি টাকা (১ কোটি ২৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৮ সৌদি রিয়াল ও ৫৭ হালালা)।
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই এই টাকা বাংলাদেশ হজ অফিসের মাসার নুসুক প্ল্যাটফর্ম থেকে বাংলাদেশ হজ অফিসের সৌদি ফ্রান্সি ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়েছে। ৯৯০টি এজেন্সির মধ্যে ৩টির কোনো অব্যয়িত অর্থ জমা নেই।
৮৩১টি এজেন্সির ব্যাংক হিসাব থাকা সাপেক্ষে তাদের টাকা ব্যাংকে স্থানান্তর করা হবে, এবং বাকি ১৫৬টির ব্যাংক তথ্য পাওয়া গেলে তাদের অর্থও ফেরত দেওয়া হবে। প্রত্যেক এজেন্সির ফেরত দেওয়া অর্থ সর্বাধিক ৪৫ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২ টাকা হতে পারে।
খালিদ হোসেন বলেন, বিগত কয়েক বছরের অব্যয়িত অর্থ ফেরত আনা এজেন্সিগুলোর প্রতি সরকারের উদ্যোগ ও সদিচ্ছার প্রকাশ। সরকার চায়, বাংলাদেশি হজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত ও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাক।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ হজযাত্রী বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করেন। সৌদি প্রান্তের খরচের অর্থ নুসুক প্ল্যাটফর্মের আইবিএএনে জমা দেয়া হয়, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হজ এজেন্সির পক্ষ থেকে এই অব্যয়িত অর্থ ফেরতের জন্য বারবার সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, পত্র এবং সরাসরি অনুরোধের পর সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় অবশেষে টাকা ফেরত দিয়েছে।
তিনি আরও নিশ্চিত করেন, ফেরত দেওয়া অর্থের সঙ্গে কোনো হজযাত্রীর খরচের টাকা যুক্ত নয়; বরং এজেন্সিগুলো ব্যবসায়িকভাবে কিছু অতিরিক্ত অর্থ পাঠায় যাতে তাদের আর্থিক ক্ষতি না হয়।
সংক্ষেপে, ১ হাজার ৩৩৯টি নিবন্ধিত হজ এজেন্সির মধ্যে সৌদি হজে পাঠানো অতিরিক্ত বা অব্যয়িত অর্থের ব্যাপক অংশ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ফেরত এসেছে, যা এজেন্সি ও সরকারের যৌথ উদ্যোগে সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে।
বিডি/এএন