ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ফল মেনে নেব: ছাত্রদল সভাপতি রাকিব

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট যদি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, তবে ফলাফল যাই হোক, তারা তা মেনে নেবেন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “আমরা আশা করছি, নির্বাচন নির্বিঘ্নভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।”

তিনি আরও জানান, বুথের তুলনায় পোলিং এজেন্টের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়, যা জটিলতা তৈরি করছে। এমনকি একজন ভোটারকে একসঙ্গে দুটি ব্যালট পেপার দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

আজ সকাল ৮টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হয়।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।

উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে লড়ছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৪০৯ জন এবং নারী প্রার্থী ৬২ জন। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় থাকা সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৫ জন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ জন এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭ জন প্রার্থী।

এ ছাড়া কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক ১১ জন এবং ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে লড়ছেন ১৫ জন প্রার্থী।

অন্যদিকে ১৩টি সদস্য পদের জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন সর্বোচ্চ ২১৭ জন প্রার্থী।