আগামীর রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় জামায়াত?

Published : ২০:৪৫, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কি ভবিষ্যতে রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ হাতে নেবে?—এমন প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ।
এই প্রশ্নকে সামনে রেখে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দলকে দিয়ে কি আসলে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দল নিষিদ্ধ করার সুর তোলা হচ্ছে—সে কৌশলেই কি খেলা চলছে?’
সোমবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেই ভিডিওতে তিনি আরেক সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামালের বক্তব্যও উদ্ধৃত করেন।
মাসুদ কামাল যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনের পুরো নিয়ন্ত্রণ আসলে থাকবে জামায়াতের হাতে। নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করবে জামায়াত।’
এ বক্তব্য ফেলে দেওয়ার মতো নয় উল্লেখ করে মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে এখন পর্যন্ত মাঠে নেই বলেই মনে হচ্ছে। তাদের আর নির্বাচনের সম্ভাবনাও ক্ষীণ। জাতীয় পার্টি আছে বটে, কিন্তু নিজেরাই দুই ভাগে টানাহেঁচড়া করছে। ফলে যদি আওয়ামী লীগ–জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল পরিষ্কারভাবে রাজনীতি থেকে সরে যায়, তখন প্রকৃত ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে জামায়াতে ইসলামী। তখন জামায়াত বলতে পারে, যদি সমঝোতা না হয় তাহলে তারা নির্বাচনে যাবে না। সেই পরিস্থিতিতে বিএনপির অবস্থাই বা হবে কী?’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতির ময়দানে আওয়ামী লীগ নেই, জাতীয় পার্টি নেই, ১৪ দলের কোনো শক্তি নেই। এনসিপিও কার্যত গুরুত্ব হারিয়েছে। তারা যদি রাজনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থান গড়তে পারত তাহলে আলাদা কথা ছিল, কিন্তু বাস্তবে সেই ক্ষমতা তাদের নেই। এ বিষয়টা এখন সবার কাছেই পরিষ্কার।’
জামায়াতের কৌশল প্রসঙ্গে মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘এখন জামায়াত মাঠে নেমে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু এতে বিএনপিই অসহায় হয়ে পড়বে। বিএনপিও যদি ঘোষণা দেয় যে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না, তাহলে কার্যত নির্বাচনই হবে না। আর সেটাই সৃষ্টি করবে নতুন এক সংকট।’
বিডি/এএন