খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Published : ১০:০৪, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “ভারত ও ফ্যাসিস্টদের প্ররোচনায় পাহাড়ে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
গতকাল রাজধানীর রমনায় ডিএমপির পাঁচটি থানার প্রশাসনিক কাম-ব্যারাক ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেখানে একটি মহল ইচ্ছে করে অশান্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব চলছে। পূজা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়, সে জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠী এ উৎসবকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।
পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পাহাড়ে অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করা হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত ও ফ্যাসিস্টদের ইন্ধনেই এসব অপতৎপরতা হতে পারে, তবে তা প্রতিহত করতে আমরা সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সেখানে গিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি করছেন।
তিনি আরও জানান, কিছু সন্ত্রাসী পাহাড়ের ওপরে থেকে গুলি ছুড়ছে এবং এসব অস্ত্র অনেক সময় বাইরের দেশ থেকে আসছে। “আমি সরাসরি দেশের নাম বলতে চাই না, তবে সাংবাদিকরা সেই নাম বলেই দিয়েছেন,” যোগ করেন তিনি। এ ধরনের তৎপরতা প্রতিরোধে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
পুলিশের অবকাঠামো প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ডিএমপির আওতায় মোট ৫০টি থানা রয়েছে। এর মধ্যে ২৫টির নিজস্ব ভবন থাকলেও বাকি ২৫টি এখনও ভাড়া বাড়িতে চলছে। ধাপে ধাপে সব থানাকেই নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগিরই শাহবাগ, মুগদা ও ভাটারা থানার ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা সম্ভব হবে।
বিডি/এএন